রবিবারের বিশেষ পদে এখানে প্রথম পছন্দ ইঁদুরের মাংস
রেড মিট তো কবেই অতীত হয়েছে। এবার কি তাহলে RAT MEAT-এর পালা! ভারতের এই জায়গার মানুষের কথা শুনলে তা মনে হতেই পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সাপ্তাহিক বাজার। শুধুমাত্র রবিবারই সেখানে বিকিকিনি হয়। সেই বাজারের সবচেয়ে জনপ্রিয় জিনিস হল ইঁদুরের মাংস। এলাকার মানুষ এসে এই মাংস কিনবেনই। তাঁদের কাছে এটাই রবিবারের বিশেষ পদ।
আরও পড়ুন: রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ, পুলিসকে তদন্তের অনুমতি দিল হরিয়ানা সরকার
ইঁদুরের মাংস! তাও আবার প্রথম পছন্দের বিশেষ পদ! পড়তে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। উত্তর-পূর্ব ভারতের অসমের বাকসা জেলায় ইঁদুরের মাংস বিক্রি হয়। তাও আবার ব্রয়লার মুরগির দামে। ২০০ টাকা কেজি প্রতি।
গুয়াহাটি থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে ইন্দো-ভুটান সীমান্তে একটি গ্রাম রয়েছে। নাম কুমারীকাটা। সেই গ্রামের বাসিন্দা একটি জনজাতি গোষ্ঠী। তারাই ইঁদুরের মাংস খেতে ভালোবাসে। তাই রবিবার বাজারে মুরগি কিংবা শূকরের থেকে ইঁদুরের মাংসের চাহিদা অনেক বেশি থাকে।
আরও পড়ুন: সেবায়েতদের বিক্ষোভ, টানা ১২ ঘণ্টারও বেশি বন্ধ রইল পুরীর জগন্নাথ মন্দির
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানালেন, অসমের নলবাড়ি ও বরপেটা জেলা থেকেই ইঁদুর আমদানি করা হয়। আর তা সংগ্রহ করাও বিস্তর পরিশ্রমের কাজ বলে ব্যবসায়ীদের দাবি।
কীভাবে ইঁদুর ধরা হয়, সেকথাই জানালেন এক ব্যবসায়ী। তাঁর কথায়, চাষের মরসুমে ফাঁদ পেতে ইঁদুর ধরতে হয়। তবে দেখে নেওয়া হয় ইঁদুরের ওজন ১ কিলোগ্রাম বা তার বেশি কি না। এর থেকে কম ওজনের ইঁদুরের দর সেভাবে নেই। রোজ রাতে ১০ থেকে ২০ কিলো ইঁদুর ধরতে পারলে, ব্যবসা ভালো হয় বলে ব্যবসায়ীদের দাবি।
আরও পড়ুন: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মন্দির বানানোর দাবি উঠল
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কেন খেতে হয় ইঁদুর? কারণ, ইঁদুরের মাংস খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। যদিও স্থানীয় মানুষের একাংশের দাবি, স্থানীয় আদিবাসীদের একটা অংশ এই মাংস খায়। এঁরা মূলত চা-বাগানে কাজ করেন। আর এঁদের আর্থিক অবস্থায় অত্যন্ত খারাপ। তাই তাঁরা ইঁদুরের মাংস খেতে বেশি পছন্দ করেন।