সেবায়েতদের বিক্ষোভ, টানা ১২ ঘণ্টারও বেশি বন্ধ রইল পুরীর জগন্নাথ মন্দির
শুক্রবার জগন্নাথ দেবকে স্নান-খাবার দেওয়া তো দূরের কথা মন্দিরের দরজা আটকে রাখেন সেবায়েতদের একাংশ
নিজস্ব প্রতিবেদন: সেবায়েতদের একাংশের বিক্ষোভে টানা ১২ ঘণ্টার বেশি বন্ধ রইল পুরী জগন্নাথ মন্দিরের আচার অনুষ্ঠান। বৃহস্পতিবার পুলিসের সঙ্গে এক বাকবিতণ্ডার জেরে শুক্রবার সকালে খোলা হল না মন্দিরের দরজা। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নাওয়া খাওয়া বন্ধ রইল জগন্নাথের।
আরও পড়ুন-নাথু লায় নাগাড়ে তুষারপাত, আটকে পড়া ২৫০০ পর্যটককে উদ্ধার করল সেনা
কী থেকে সমস্যা? সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার কয়েকজন দর্শনার্থীকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক সেবায়েতের সঙ্গে তর্কাতর্কি বেধে যায় পুলিসের। অভিযোগ, ওই সেবায়েতকে নিগ্রহ করা হয়েছে। এতেই সেবায়েতদের একাংশ পুলিসের ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন। এরই জেরে মন্দিরের ইতিহাসে নজিরবিহীনভাবে শুক্রবার দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সাধারণভাবে সকাল পৌনে পাঁচটায় মন্দিরের দরজা খোলা হয়। ভক্তদের জন্য তা খুলে দেওয়া হয় সোয়া পাঁচটা নাগাদ। তবে শুক্রবার জগন্নাথ দেবকে স্নান-খাবার দেওয়া তো দূরের কথা মন্দিরের দরজা আটকে রাখেন সেবায়েতদের একাংশ।
আরও পড়ুন-দমদমে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলিতে খুন দোকানকর্মী, পেছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ!
মন্দিরের সেবায়েত তালুচা ভগবান মহাপাত্র সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের ৩ ভক্তকে নিয়ে মন্দিরে এসেছিলাম। কিন্তু সিংহ দরজা দিয়ে তাদের ঢুকে দিতে অস্বীকার করে পুলিস। তাদের পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হয়। এমনকি এও বলা হয়, একজন ভক্তকে নাকি দেখে অ-হিন্দু মনে হচ্ছে তাদের। আমি ভক্তদের মন্দিরের ভেতরে যেতে বলি। তখনই পুলিস আমাকে নিগ্রহ করে।
মন্দিরের দরজা খোলা নিয়ে আসরে নামেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী প্রতাপ জানা। অনেক আলোচানার পর শেষপর্যন্ত মন্দিরের দরজা খোলে বিকেল চারটে নাগাদ।