ওয়েব ডেস্ক: একটি হৃদপিণ্ড আনতে বিমান ভাড়া ১৪ লক্ষ টাকা! অঙ্গদানের জন্য এক মৃত মহিলার হৃদপিণ্ড ভূজ থেকে মুম্বইয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু বিমান ভাড়া অত্যাধিক হওয়ায় মুম্বইয়ের রোগীর পরিবার সেই খরচ বহন করতে পারেনি। অকালেই নষ্ট হয় একটি 'জীবন্ত' হৃদপিণ্ড। মানুষের মৃত্যুর পর চার ঘণ্টার মধ্যে শরীরে যেকোনও অঙ্গ অন্য শরীরে প্রতিস্থাপন করা যায়।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চার্টার্ড বিমান কতৃপক্ষ গলাকাটা বিমান ভাড়া দাবি করায় হৃদপিণ্ড নষ্ট হয়েছে, এমনই অভিযোগ এনেছে দুই রোগীর পরিবার। ভূজে বছর তিরিশের এক মহিলার ব্রেন ডেথ হওয়ার পর তাঁর পরিবার মহিলার হৃদপিণ্ড দান করতে চেয়েছিলেন। এইরকম হৃদপিণ্ডের প্রয়োজনে মুম্বইয়ের এক পরিবার যোগাযোগ করে ওই মহিলার পরিবারের সঙ্গে। কিন্তু মাঝপথে বিমান খরচ বাধা হয়ে দাঁড়ায়।


শুধুমাত্র হৃদপিণ্ডই নয় অতিরিক্ত বিমান ভাড়ার কারণে নষ্ট হয় আরও ৭ অঙ্গ। ভূজের পরিবারের চিকিত্‍সক সচিন ঠাকরে জানান, মহিলার পরিবার মহত্‍ উদ্দ্যেশে দান করেছিলেন। দুই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরও বিমান ভাড়া কম করা নিয়ে সচেষ্ট হয়। এমনকী মুম্বইয়ের চিকিত্‍সকরা হৃদপিণ্ড নিয়ে আসার জন্য সবরকম পরিকল্পনা করে ফেলে। কিন্তু আখেরে কোনও লাভ হয়নি। আকাশছোঁয়া বিমান ভাড়া হওয়ায় আকাশ পথে নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি হৃদপিণ্ডটিকে।


এই ঘটনা প্রথম না। এর আগেও আকাশ পথে অঙ্গ নিয়ে যেতে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায় আকাশচুম্বী বিমান ভাড়া। গত সপ্তাহে ঔরঙ্গবাদ থেকে চেন্নাইয়ে একটি হৃদপিণ্ড আনতে বেসরকারি বিমান কতৃপক্ষ দাবি করে ২২ লক্ষ টাকা। সেদিনও হৃদপিণ্ডের মৃত্যু হয়েছিল। কারণ এই খরচ বহন করতে পারেনি রোগীর পরিবার।


তবে এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। মুম্বইয়ের জোনাল ট্রান্সপ্ল্যান্ট কোরডিনেশন কমিটি (ZTCC) চার্টার্ড বিমান কতৃপক্ষদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসে। ZTCC-র জেনারেল সেক্রেটারি ডাক্তার সুজাতা পটবর্ধন জানান, "এই ঘটনা থেকে আমাদের সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া অত্যাধিক হওয়ার কারণে কোনও অঙ্গ প্রতিস্থাপন না হওয়া দুঃখজনক ঘটনা।" মেডিকেল এডুকেশন এ্যান্ড রিসার্চের কর্মকর্তা ডাক্তার প্রবীন শিঙ্গারে জানান, "রাজ্য সরকারের কাছে আমরা খুব শীঘ্রই প্রস্তাব রাখব কম খরচে ইমারজেন্সি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা করার জন্য।"