নিজস্ব প্রতিবেদন: জেএনইউ-এ ফি বৃদ্ধি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বিচারপতির নির্দেশ, পরের সেমেস্টারের যাঁরা নাম তোলেননি, তাঁদের পুরনো ফি-তেই ভর্তি নিতে হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে যাবতীয় প্রক্রিয়া। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়েছে আদালতের পর্যবেক্ষণ। বিচারপতি রাজীব শখধেরের অভিমত, শিক্ষাক্ষেত্রে অনুদান দেওয়া থেকে হাত তুলে নিতে পারে না সরকার। শিক্ষায় অর্থবরাদ্দ চালু রাখতে হবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গতবছর জেএনইউ-র ভর্তি ফি বাড়িয়ে দেওয়া কেন্দ্র। একইসঙ্গে হস্টেলে থাকা নিয়ে জারি হয় নির্দেশিকা। ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করছে জেএনইউ-র বামপন্থী ছাত্রছাত্রীরা। কেন্দ্রের নির্দেশিকা চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ-সহ বেশ কয়েকজন সদস্য। ওই মামলায় আদালতে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল সওয়াল করেন, ৯০ শতাংশ পড়ুয়াই বর্ধিত ফি দিয়ে ভর্তি হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু সেই যুক্তি মানতে চাননি বিচারপতি। তাঁর ব্যাখ্যা, বর্ধিত ফি দিয়ে ভর্তি হওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল কী?        


ফি বৃদ্ধির কারণও আদালতে জানান সরকারপক্ষের আইনজীবী। তিনি জানান, চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। তাঁদের পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করার জন্য ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারপক্ষের এহেন ব্যাখ্যায় চিড়ে ভেজেনি। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, শিক্ষায় অনুদান দেওয়া থেকে হাত তুলে নিয়ে পারে না সরকার। শিক্ষায় অর্থবরাদ্দ দিতে হবে। চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের বেতনের খরচ ছাত্রছাত্রীদের ঘাড় ভেঙে তোলা যাবে না। সেই খরচ তোলার জন্য অন্য ব্যবস্থা করতে হবে।


আরও পড়ুন- কত তরুণীকে যে কাত করেছেন! যৌবনের রতন টাটা দাপাচ্ছেন অন্তর্জাল