নিজস্ব প্রতিবেদন: দিনভর সিনেমার চিত্রনাট্যের মতো টানটান নাটক। কর্ণাটকে বিজেপি-কংগ্রেসের দড়ি টানাটানি পৌঁছে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। শাসকজোটের বিক্ষুব্ধ বিধায়করা আর্জি করেছেন, স্পিকারকে দ্রুত ইস্তফা মঞ্জুরের নির্দেশ দেওয়া হোক। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার মামলার জরুরি শুনানির সম্ভাবনা। তার আগে আজ, বুধবার বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের বোঝাতে মুম্বই যান কংগ্রেস নেতা শিবকুমার। তবে, তাঁকে হোটেলেই ঢুকতে দেয়নি পুলিস। কর্নাটকে বিজেপি-র বিরুদ্ধে সরকার ফেলার চেষ্টার অভিযোগে আজ বাম-কংগ্রেস-তৃণমূলের যৌথ নিন্দাপ্রস্তাব পাস হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টানা বৃষ্টির মধ্যেই বুধবার কর্নাটকের আঁচে দিনভর উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুম্বই। এদিন সকালেই বিক্ষুব্ধ দশ বিধায়কের সঙ্গে দেখা করতে, মুম্বইয়ের হোটেলে পৌছে যান কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার। মুম্বইয়ে হোটেল-বন্দি বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়করা শিবকুমারের সঙ্গে দেখা করতে চাননি। শিবকুমার নিজের নামে ওই হোটেলে ঘর বুক করলেও হোটেল কর্তৃপক্ষ তা বাতিল করে দেন। সকাল ৯টা থেকে প্রায় ৬ ঘণ্টা হোটেলের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকেন শিবকুমার। পরে শিবকুমার ও মুম্বইয়ের কংগ্রেস নেতা মিলিন্দ দেওরা, সঞ্জয় নিরুপমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিস। থানা থেকেই বিমানবন্দরে নিয়ে গিয়ে শিবকুমারকে বেঙ্গালুরুর বিমানে তুলে দেওয়ার কথা জানানো হয়। 



কর্নাটক বিধানসভার স্পিকার রমেশ কুমার বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস-জেডিএস বিধায়কদের ইস্তফা মঞ্জুর না করায় শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। এদিন প্রধান বিচারপতির এজলাসে বিষয়টি উল্লেখ করেন তাঁদের আইনজীবী মুকুল রোহতাগি। আবেদনে দাবি করা হয়, কর্নাটক বিধানসভার স্পিকারকে দ্রুত ইস্তফা গ্রহণের নির্দেশ দিক শীর্ষ আদালত। রাজ্যে সরকার অচল হয়ে পড়েছে। নানা দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে। সরকারের মধ্যেই সংঘাত দেখা দিয়েছে। তাই তাঁরা স্বেচ্ছায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। 


বিদ্রোহী বিধায়করা এদিন ফের স্পিড পোস্টে স্পিকারকে ইস্তফার চিঠি পাঠান। তাঁর সঙ্গে ভিডিও কলেও কথা বলেন। এসবের মধ্যেই বিধায়কদের ইস্তফা অব্যাহত থাকায় সরকারের সঙ্কট বাড়ছে। এদিন, আরও ২ কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায়, শাসকজোটের পক্ষে বিধায়ক সংখ্যা নেমে এসেছে ১০২। অন্যদিকে, ১ নির্দল বিধায়ক মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে শিবির বদল করায় বিজেপির পক্ষে এখন ১০৬ জন বিধায়কের সমর্থন।   


ফলে, শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশন শুরুর পর, আস্থা ভোটের আগে চিন্তা বাড়ছে কুমারস্বামীর। মুম্বইয়ে শিবকুমারকে আটকানোর প্রতিবাদে এদিন বেঙ্গালুরুতে রাজভবন অভিযান করে কংগ্রেস-জেডিএস। সামিল হন দেবগৌড়া ও গুলাম নবি আজাদ। স্পিকার ইস্তফা ঝুলিয়ে রাখায় ও মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর পদত্যাগের দাবিতে বিধানসভায় ধর্নায় বসে বিজেপি। এদিন বিকেলে বিধানসভা শাসক জোটের সঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। কর্নাটক-কাণ্ডে বিরোধীদের বিক্ষোভে মুলতুবি হয়ে যায় রাজ্যসভার অধিবেশন। 


আরও পড়ুন- তমঞ্চে পে ডিস্কো: দু’হাতে বন্দুক নিয়ে নাচ! বিতর্কে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সাংসদ