Hijab Row: অপেক্ষা রায়দানের, ধর্মীয় পোশাকে `না` কর্নাটক হাইকোর্টের
রাজ্যের উদিপি জেলায় এক কলেজে ৬ ছাত্রীকে হিজাব পরে আসতে নিষেধ করে কর্তৃপক্ষ
নিজস্ব প্রতিবেদন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরে যাওয়া নিয়ে তোলপাড় কর্নাটক। উত্তেজনা ছড়াচ্ছে দেশের অন্যান্য অংশেও। মামলা উঠেছে কর্নাটক হাইকোর্টেও। আজ এনিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল কর্নাটক হাইকোর্ট। পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার।
কর্নাটক হাইকোর্ট(Karnataka High Court) ওই মামলার শুনানিতে মন্তব্য করেছে, হিজাব(Hijab Row) বা গেরুয়ার মতো কোনও পোশাক পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা উচিত নয় যাতে কোনও উত্তেজনা তৈরি হয়। হিজাব মামলার শুনানি চলছে হাইকোর্টের ৩ সদস্যের বেঞ্চে। আজ ওই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি রীতু রাজ আবস্তী বলেন, 'এনিয়ে শীঘ্রই রায় দেবে আদালত। তবে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হোক। কিন্তু যতদিন এই মামলার নিস্পত্তি না হচ্ছে ততদিন কোনও পড়ুয়ার ধর্মীয় পোশাক পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসার ব্যাপারে জোর করা উচিত নয়। সবার শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা উচিত। ' এনিয়ে পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার দুপুর আড়াইটেয়।
এদিন মামলার শুনানির শুরুতে বেঞ্চের বিচারপতি রীতু রাজ অবস্তী রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে বলেন, 'শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখা ভালো লক্ষণ নয়। ক্লাস শুরু করুন। এর জন্য যা করতে হয় তা করুন।' হিজাব পরে কলেজে আসা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় ৩ দিনের জন্য রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় কর্নাটক সরকার(Karnataka Govt)।
আরও পড়ুন-দাউদাউ করে জ্বলছে 'ঘরের লক্ষ্মী', গৃহবধূকে 'নৃশংস হত্যা'র ভিডিও ভাইরাল
উল্লেখ্য, রাজ্যের উদিপি জেলায় এক কলেজে ৬ ছাত্রীকে হিজাব পরে আসতে নিষেধ করে কর্তৃপক্ষ। পরে এক ছাত্রী হিজাব পরে আসায় তাকে ঘিরে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয় একদল ছাত্র। পাল্টা আল্লাহু আকবর স্লোগান দেয় ওই ছাত্রী। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় রাজ্যের একাধিক অংশে। মামলা ওঠে কর্নাটক হাইকোর্টে। সেখানে হিজাবের পক্ষে সওয়াল করা হয়, হিজাব পরে কলেজে এলে কোনও সমস্যা হয় না। এটি মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তাই একই রঙের হিজাব পরে ক্লাসে এসে অন্য কারও ক্ষতি হয় না। অন্যদিকে হিজাব বিরোধীদের দাবি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাক কেন?
এনিয়ে হিজারেব পক্ষে সওয়াল করতে উঠে আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে বলেন, গত ডিসেম্বর মাস থেকে হিজাব নিয়ে সমস্যা করা হচ্ছে। হিজাব পরে আসা ছাত্রীদের ক্লাসে ঢুকেই দেওয়া হচ্ছে না। মাথা ঢাকা দিয়ে আসাটা মুসলিমদের ধর্মীয় সংস্কৃতির অংশ।