নিজস্ব প্রতিবেদন- জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের টপ কমান্ডার সাইফুল্লাহকে খতম করল ভারতীয় সেনা, জম্মু-কাশ্মীর পুলিস ও সিআরপিএফ-এর যৌথ বাহিনী। শ্রীনগরের রংরেথ এলাকায় সেনা, পুলিস ও সিআরপিএফ-এর জয়েন্ট অপারেশনের সময় সাইফুল্লাহ মারা পড়েছে। গোপন সূত্র থেকে সেনার আধিকারিকরা খবর পান, রংরেথ এলাকায় দুজন মোস্ট ওয়ান্টেড হিজবুল জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। এরপর অভিযান শুরু হয়। পুলিস- সেনা ও সিআরপিএফের যৌথবাহিনী অপারেশন চালায়। শুরুতেই দুজন জঙ্গিকে আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয় বাহিনী। কিন্তু জবাবে সাইফুল্লাহ ও তাঁর সঙ্গী গুলি চালাতে শুরু করে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে দুই জঙ্গিকে কাবু করার চেষ্টা করে যৌথ বাহিনী। তারপরই শুরু হয় ফায়ারিং। সেনার তরফে অবশ্য সাইফুল্লাহর খতম হওয়ার ব্যাপারে কোনো বিবৃতি জারি করা হয়নি। জম্মু-কাশ্মীর পুলিসের আইজি জানিয়েছেন, তাঁরা ৯৫ শতাংশ নিশ্চিত যে মারা যাওয়া জঙ্গি আসলে সাইফুল্লাহ। সইফুল্লার মতো চিফ কমান্ডার খতম হওয়ার পর ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে পারে। তাই শ্রীনগরের ওই এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিস ও সেনার বিশাল বাহিনী। এমনকি গোটা উপত্যকায় জারি রয়েছে হাই অ্যালার্ট। এ প্লাস প্লাস ক্যাটেগরির জঙ্গি সাইফুল্লাহকে অনেকদিন ধরেই খুঁজছিল সেনা ও পুলিস।


আরও পড়ুন-  মুখে দুই গজ দূরত্বের কথা; আবার সভায় ভিড় দেখেও আপ্লুত, বিহারে ক্ষমতায় আসা নিয়ে নিশ্চিত মোদী


জানা গিয়েছে, সাইফুল্লাহ ওরফে গাজী হায়দার পুলওয়ামার মালাংপোড়া এলাকার অধিবাসী। হিজবুল চিফ সৈয়দ সালাউদ্দিনের নির্দেশ মতো কাশ্মীরে একের পর এক নাশকতার ছক কষেছিল সে। রিয়াজ নাইকু খতম হওয়ার পর কাশ্মীরে হিজবুলের কর্মকাণ্ড সামলাত সাইফুল্লাহ। তাই এমন মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গির খতম হওয়া দেশের জন্য বড় খবর। আর সেনার জনয তো বড় সাফল্য বটেই। অস্ত্র ছিনতাই, আইইডি হামলা, নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর আক্রমণের মতো একের পর এক নাশকতামূলক ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল সাইফুল্লাহ।