প্রেমের পরাজয়, হিমাচলের মসনদে কে?
‘ব্যক্তিগত ক্ষতিকে বড় করে দেখা উচিত্ নয়। বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছে বিজেপি। এর জন্য মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। রাজনীতির ময়দানে হার-জিত থাকবেই। আমি এই ফল আশা করিনি। তবে হারের কারণ খতিয়ে দেখবে।‘
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোট গণনার কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছিল ব্যবধান। অবশেষে হিমাচলপ্রদেশে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী প্রেমকুমার ধুমল হারলেন। গোটা হিমাচলে বইছে গেরুয়া হাওয়া, কিন্তু এদিন প্রেমের পরাজয়ে বেশ কিছুটা ধাক্কা খেল গৈরিক শিবির। এবার হিমালয়ের কোলের এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? তা নিয়েই চলছে জোর জল্পনা। ডিএনএ-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, প্রেমকুমারের বিকল্প হতে পারেন জয়রাম ঠাকুর। মঙ্গলবার সন্ধেয় জয়রাম ঠাকুরকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে বিজেপি হাই কমান্ড। আর তাতেই বেড়েছে জল্পনা।
আরও পড়ুন: গেরুয়া গর্জনের মাঝেই হিমাচলে পিছিয়ে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী প্রেমকুমার
হিমাচলপ্রদেশের নেতা জয়রাম ঠাকুর বিজেপির সংসদীয় মন্ত্রী। গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতীও রাজ মন্ত্রী ছিলেন তিনি। হিমাচলপ্রদেশের মান্ডি থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালে নির্বাচনে প্রথম জিতেন এই নেতা।
এদিন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী প্রেমকুমার ধুমলকে প্রবলভাবে পরাস্ত করেছেন কংগ্রেস প্রার্থী রাজেন্দ্রর রানা। সুজানপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ২,৯৩৩ টি ভোটে প্রেমকুমার ধুমলকে হারিয়ে দিয়েছেন রাজেন্দ্রর। অর্থাত্ প্রেমের উপর যে হিমাচলবাসী আস্থা রাখেননি, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এরপরও প্রেমকুমার ধুমল বলেছেন, ‘ব্যক্তিগত ক্ষতিকে বড় করে দেখা উচিত্ নয়। বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছে বিজেপি। এর জন্য মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। রাজনীতির ময়দানে হার-জিত থাকবেই। আমি এই ফল আশা করিনি। তবে হারের কারণ খতিয়ে দেখবে।‘
আরও পড়ুন: ভোটে পর্যুদস্ত হওয়ার পর প্রথম প্রতিক্রিয়া রাহুল গান্ধীর
সরকার গঠনের একটা নিজস্ব ধারা সেই নয়ের দশক থেকেই চলে আসছে হিমাচল প্রদেশে। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এখানে পরিবর্তন অনিবার্য। পালা করে মসনদে বসে থাকে কংগ্রেস এবং বিজেপি। এবছরও তার ব্যতিক্রম হল না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর হার যে কিছুটা হলেও বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলল, তাতে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।