জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:  হিমাচল প্রদেশের পরিস্থিতি খুবই সঙ্কটজনক। অতি ভারী বৃষ্টি, ভূমিধস, হড়পা বান ইত্যাদিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। এই বিপুল বৃষ্টির জেরে হিমাচলে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯। এখনও পর্যন্ত ৬ জন নিখোঁজ। আহত কমপক্ষে ৯ জন। স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি এই তথ্য জানিয়েছে। হিমাচল প্রদেশ জুড়ে বিপুল বৃষ্টি ভয়ংকর হড়পা বান ও তার জেরে ধস নামায় বিপর্যয় নামল বিভিন্ন এলাকায়। বাগি নালায় সহসা হড়পা বান নামায় গোহর সাবডিভিশনের কাশান জেলায় একই পরিবারের অন্তত ৮ জন জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন বলে খবর, অন্ততপক্ষে ৫ জন নিখোঁজ। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে সেখানে অন্তত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা সকলেই চাম্বা জেলার। তবে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হল থুনাগ জেলা। এমনিতেই ক'দিন ধরে ভারী বৃষ্টির জেরে পরিস্থিতি অনুকূল ছিল না হিমাচল প্রদেশে। বিশেষত সিমলা কুলু ও মান্ডি এলাকায়। এর মধ্যে কুলু ও মান্ডিতে ডেপুটি কমিশনার সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করেছিল। দুর্ঘটনার পরেই সাধারণ মানুষ নিজেদের মতো করে উদ্ধার কার্যে নেমে পড়েছে। খবর পাওয়া মাত্র মান্ডি জেলার তরফে সরকারি কর্মীরাও কাজে নেমে পড়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Himachal Pradesh: ভয়ংকর হড়পা বান ও ধস হিমাচলে! মৃত্যু ৩, নিখোঁজ অনেকেই


কিছু দিন আগেই হিমাচলকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছিল বিপুল বৃষ্টি। হঠাৎ-করে-ঘটা বিপুল বৃষ্টিপাতে জলস্তর বেড়ে গিয়েছিল মানালি ও লাহুল উপত্যকার নদী-নালাগুলিতে। অতিরিক্ত সেই জলে প্লাবিত হয়ে গিয়েছিল মানালি। বহু জায়গায় নেমেছিল ধস। বহু জায়গায় রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি বিচার করে প্রশাসনের তরফে জারি হয়েছিল সতর্কতা। হিমাচল জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বহু মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। দুর্গতদের তালিকায় ছিলেন বহু পর্যটকও। জানা গিয়েছিল ১৫০ জনেরও বেশি পর্যটক এই ভাবে বিভিন্ন পয়েন্টে আটকে পড়েছিলেন সেবার। জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছিল। সাধারণ মানুষ ও আটকে-পড়া পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার কাজ দ্রুত চলেছিল। ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভয়ে বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন স্থানীয় মানুষ এবং পর্যটকদল। কয়েক সপ্তাহের মাথায় তারপর আবার এই বিপর্যয়। সেবারই মানালিতে বিপাশা নদী প্লাবিত হয়ে গিয়েছিল দওয়াদা এলাকায়। নদীর জল উপচে উঠে পড়েছিল রাস্তায়। চণ্ডীগড়-মানালি হাইওয়ের যান পরিবহণ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল কাটৌলা-বাজাউরা সড়কে। কুলু প্রশাসন স্থানীয় বাহাঙ্গ গ্রামের মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। এবারও উদ্ধারকার্য চলছে।


মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর মৃতদের আত্মার শান্তিকামনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সর্বশক্তি দিয়ে উদ্ধারকার্য করছে। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)