Himachal Pradesh: ভয়ংকর হড়পা বান ও ধস হিমাচলে! মৃত্যু ৩, নিখোঁজ অনেকেই
তবে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হল থুনাগ জেলা। এমনিতেই ক'দিন ধরে ভারী বৃষ্টির জেরে পরিস্থিতি অনুকূল ছিল না হিমাচল প্রদেশে। বিশেষত সিমলা কুলু ও মান্ডি এলাকায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অন্ততপক্ষে ৩ জনের মৃত্যু। ১২ জনের মতো নিখোঁজ। হিমাচল প্রদেশে ভয়ংকর হড়পা বান ও তার জেরে ধস নামায় বিপর্যয় নামল সন্নিহিত এলাকায়। বাগি নালায় সহসা হড়পা বান নামায় গোহর সাবডিভিশনের কাশান জেলায় একই পরিবারের অন্তত ৮ জন জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন বলে খবর, অন্ততপক্ষে ৫ জন নিখোঁজ। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে অন্তত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা সকলেই চাম্বা জেলার। তবে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হল থুনাগ জেলা। এমনিতেই ক'দিন ধরে ভারী বৃষ্টির জেরে পরিস্থিতি অনুকূল ছিল না হিমাচল প্রদেশে। বিশেষত সিমলা কুলু ও মান্ডি এলাকায়। এর মধ্যে কুলু ও মান্ডিতে ডেপুটি কমিশনার সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করেছিল। দুর্ঘটনার পরেই সাধারণ মানুষ নিজেদের মতো করে উদ্ধার কার্যে নেমে পড়েছে। খবর পাওয়া মাত্র মান্ডি জেলার তরফে সরকারি কর্মীরাও কাজে নেমে পড়েছে।
আরও পড়ুন: Heavy Downpour Himachal: প্লাবিত মানালি, বৃষ্টি-বিধ্বস্ত অঞ্চলে আটকে ১৫০-র বেশি পর্যটক
কিছু দিন আগেই হিমাচলকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছিল বিপুল বৃষ্টি। হঠাৎ-করে-ঘটা বিপুল বৃষ্টিপাতে জলস্তর বেড়ে গিয়েছিল মানালি ও লাহুল উপত্যকার নদী-নালাগুলিতে। অতিরিক্ত সেই জলে প্লাবিত হয়ে গিয়েছিল মানালি। বহু জায়গায় নেমেছিল ধস। বহু জায়গায় রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি বিচার করে প্রশাসনের তরফে জারি হয়েছিল সতর্কতা। হিমাচল জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বহু মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। দুর্গতদের তালিকায় ছিলেন বহু পর্যটকও। জানা গিয়েছিল ১৫০ জনেরও বেশি পর্যটক এই ভাবে বিভিন্ন পয়েন্টে আটকে পড়েছিলেন সেবার। জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছিল। সাধারণ মানুষ ও আটকে-পড়া পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার কাজ দ্রুত চলেছিল। ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভয়ে বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন স্থানীয় মানুষ এবং পর্যটকদল। কয়েক সপ্তাহের মাথায় তারপর আবার এই বিপর্যয়।
সেবারই মানালিতে বিপাশা নদী প্লাবিত হয়ে গিয়েছিল দওয়াদা এলাকায়। নদীর জল উপচে উঠে পড়েছিল রাস্তায়। চণ্ডীগড়-মানালি হাইওয়ের যান পরিবহণ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল কাটৌলা-বাজাউরা সড়কে। কুলু প্রশাসন স্থানীয় বাহাঙ্গ গ্রামের মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। এবারও উদ্ধারকার্য চলছে।