Hindenburg Report: আদানিকে ফের বোমা হিন্ডেনবার্গের! `সমস্ত মিথ্যা, চরিত্রহননের চেষ্টা` অভিযোগ ওড়ালেন সেবি চেয়ারম্যান...
SEBI Chief Denies Hindenburg Report: হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ জানিয়েছে, সেবির বর্তমান চেয়ারপার্সন মাধবী বুচ এবং তাঁর স্বামীর আদানির অফশোর কোম্পানিতে অংশীদারিত্ব রয়েছে। এর আগে শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে শেয়ারের দর ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোর অভিযোগ তুলেছিল এই হিন্ডেনবার্গ-ই। আবার এরাই তাদের এক্স হ্যান্ডলে এবার এই মর্মে পোস্ট করে, আদানিরা বিদেশে যে টাকা সরিয়েছেন, তাতে অংশীদারিত্ব রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সেবি-র প্রধানের!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দেখতে গেলে মাত্র দেড় বছরের ব্যবধানে মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বোমা ফাটাল। এবারের অভিযোগে তারা বলল, আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিদেশে সরানো টাকায় অংশীদারিত্ব ছিল শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা 'সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া' তথা 'সেবি' প্রধানের! হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই আলোড়ন উঠেছে। অবশ্য হিন্ডেনবার্গের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ এবং তাঁর স্বামী ধবল বুচ। বিবৃতি দিয়ে তাঁরা দাবি করেন, যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং এসব তাঁদের চরিত্রহনন করার জন্যই করা হচ্ছে। কিন্তু হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের বোমায় সেবি-র স্বশাসিত ও নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েই উঠে গেল বড় প্রশ্নচিহ্ন!
ঠিক কী বলেছে হিন্ডেনবার্গ?
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ জানিয়েছে, সেবির বর্তমান চেয়ারপার্সন মাধবী বুচ এবং তাঁর স্বামীর আদানির অফশোর কোম্পানিতে অংশীদারিত্ব রয়েছে। এর আগে শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে শেয়ারের দর ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোর অভিযোগ তুলেছিল এই হিন্ডেনবার্গ-ই। আবার এরাই তাদের এক্স হ্যান্ডলে এবার এই মর্মে পোস্ট করে, আদানিরা বিদেশে যে টাকা সরিয়েছেন, তাতে অংশীদারিত্ব রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সেবি-র প্রধানের! হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের দাবি, গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির বিদেশে থাকা সংস্থায় অংশীদারি রয়েছে সেবি প্রধান এবং তাঁর স্বামীর।
গত বছর হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টেই দাবি করা হয়েছিল, আদানি কী ভাবে কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশে ভুয়ো কোম্পানি খুলে টাকা সরিয়েছে! সেই অভিযোগের তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল সেবি-র উপরেই। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টেরও নির্দেশ ছিল। এর অর্থ, হিন্ডেনবার্গ আসলে বোঝাতে চেয়েছে, সর্ষের মধ্যেই রয়েছে ভূত! যাঁর উপর তদন্তভার, আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে তলে তলে তাঁরই আঁতাত! হিন্ডেনবার্গ এদিন বলেছে, তাদের রিপোর্ট প্রকাশের পর ১৮ মাস কেটে গিয়েছে, অথচ আদানির ব্যাপারে সেবি বিস্ময়কর ভাবে নিশ্চুপ!
হিন্ডেনবার্গের দাবি, মাধবী বুচ ও তাঁর স্বামী মরিশাস ও বারমুডার এমন সব ভুয়ো বিদেশি সংস্থায় বিনিয়োগ করে রেখেছেন যাদের সঙ্গে গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির প্রত্যক্ষ যোগ ছিল। এই সব বিনিয়োগ করা হয়েছে ২০১৫ সালে। তার পর ২০১৭ সালে সেবির পূর্ণ সময়ের সদস্য হিসেবে নিয়োগ করা হয় মাধবী বুচকে। ওই রিপোর্টের দাবি, সেই সময়েই নজরদারি এড়াতে মাধবীর নামে থাকা সমস্ত বিদেশি বিনিয়োগ নিজের নামে করে নিয়েছিলেন ধবল। যাই হোক, পরে ২০২২ সালে সেবি-র চেয়ারপার্সন হন মাধবী।
সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে বুচ দম্পতির তরফে বলা হয়েছে, যাবতীয় আর্থিক তথ্য তাঁরা প্রকাশ্যে আনতে পারেন। এ বিষয়ে তাঁদের কোনও রাখঢাক নেই। এমনকি তাঁরা যখন কোনও সরকারি পদে ছিলেন না, চাইলে তখনকার তথ্যও কেউ খতিয়ে দেখতে পারে! শুধু তাই নয়, পূর্ণাঙ্গ স্বচ্ছতার স্বার্থে খুব শীঘ্রই তাঁরা একটি বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ করবেন।
এরকমটা চলবেই। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের খবর, এই আবহে খুব স্বাভাবিক ভাবেই হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট হাতিয়ার করে রবিবার থেকেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে নেমে পড়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে বিরোধী গোষ্ঠী।