নিজস্ব প্রতিবেদন: কৈরানার পর এবার মেরঠ। উত্তরপ্রদেশের মেরঠের প্রহ্লাদনগরে হিন্দু পরিবারগুলি ঘর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠল। স্থানীয়দের অভিযোগ, একটি সম্প্রদায়ের লোকেরা মহিলাদের বাইক নিয়ে ধাওয়া করছে। জোরে হর্ন বাজাচ্ছে। গোটা এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে তারা। ঘর ছেড়ে বাইরে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন মহিলারা। সে কারণে ঘর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন এলাকাবাসী। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নমো অ্যাপে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক সমাজকর্মী ভবেশ মেহতা। তাঁর দাবি, মহিলাদের উত্পীড়ন করছে একটি সম্প্রদায়ের লোকেরা। সেই ভয়ে এলাকা ছেড়ে ১২৫টি হিন্দু পরিবার। বাড়ি বিক্রি করে অন্য চলে যাচ্ছেন স্থানীয়রা। ভবেশ মেহতার কথায়, এলাকায় অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে সমাজ বিরোধীরা। উপযুক্ত পদক্ষেপের জব্য প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি''।          



স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, একাধিকবার পুলিসকে জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রহ্লাদনগরে কমপক্ষে ১২টি ঘরের বাইরে ঝুলছে, 'for sale' বা বিক্রয়যোগ্য। 



স্থানীয় বাসিন্দারা পলায়ন করছেন বলে মানতে নারাজ প্রশাসনিক কর্তারা। তাঁদের দাবি, বিষয়টির খুব শীঘ্রই সমাধান হয়ে যাবে। এলাকা না ছাড়ার আবেদন করেছে প্রশাসন। পুলিসের এডিজি প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, জেলার পুলিস কর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। কাউকে জোর করে এলাকা ছাড়া করা হচ্ছে না। ইভটিজিং, জবরদখল ও ট্রাফিকের মতো বিষয়ে সেখানকার মানুষ এলাকা ছাড়ছেন। জবরদখল নিয়ে পুরসভার সঙ্গে কথা বলব। বাড়ানো হবে নিরাপত্তা।



গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। 


আরও পড়ুন- বিতর্ক হলেও কমলা রঙের জার্সি মনে ধরেছে কিং কোহলির