নিজস্ব প্রতিবেদন- মহারাষ্ট্রের পালঘরে দুজন সাধুকে পিটিয়ে হত্যা করেছিল গ্রামবাসীরা। কেউ বা কারা রটিয়ে দিয়েছিল, ওই দুজন সাধু নাকি বাচ্চা চুরির উদ্দেশে গ্রামে ঢুকেছিল। সত্যি-মিথ্যের বিচার না করেই গ্রামবাসীরা লাঠি, লোহার রড নিয়ে চড়াও হয়েছিল ওই দুই নিরপরাধ সাধুর উপর। পুলিস, প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও সাধুদের রক্ষা করতে পারেনি। পালঘরের সেই ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এবার ফের রাস্তায় পিটিয়ে খুন করা হল শিব মন্দিরের পুরোহিতকে। যোগীর রাজ্যের ঘটনা। শিব মন্দিরের পুরোহিতকে খুনের অভিযোগ মুসলিম সম্প্রদায়ের এক যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করেছে। এরই মধ্যে স্থানীয় লোকজন সেই সাধুর মৃতদেহ রাস্তায় শুইয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মেরঠের ভাবনপুরের আবদুল্লা বাজারে একটি শিবমন্দিরের পুরোহিত ছিলেন কান্তি প্রসাদ। মন্দির চত্বরে তাঁর একটি দোকান ছিল। তিনি ওই মন্দিরের পুরোহিতও ছিলেন। গলায় গেরুয়া রঙের গামছা থাকত তাঁর। আর পরনে থাকত হলুদ রঙের পোশাক। সব সময় তাঁকে সাধুবেশেই দেখা যেত তাঁকে। এদিন কান্তিপ্রসাদ গিয়েছিলেন লাইচের বিল জমা দিতে। ফেরার সময় আনাস কুরেশি নামের এক যুবক তাঁকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। কান্তি প্রসাদের গলায় গেরুয়া রঙের গামছা নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা শুরু করে আনাস কুরেশি। তাঁকে কটু কথাও বলে সে। এর পরই কান্তি প্রসাদ প্রতিবাদ করেন। কিন্তু তাতে কান্তি প্রসাদকে বেধরক মারধর করতে শুরু করে আনাস। বৃদ্ধ সাধুকে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় আনাস। এর পর কোনওরকম গ্রামে ফিরে আনাসের বাড়িতে অভিযোগ জানাতে যান কান্তি প্রসাদ। সেই সময় আনাস ফিরে এসে তাঁকে আবার বেধরক মারতে শুরু করে।


আরও পড়ুন-  রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হল বলে! পাওয়া গেল বড়সড় আপডেট


স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, আনাস ও তাঁর বাড়ির লোক মিলে নৃশংসভাবে মারতে থাকে কান্তি প্রসাদকে। গুরুতর আহত অবস্থায় কান্তি প্রসাদকে হাতপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এর পরই তাঁর মৃতদেহ নিয়ে রাস্তায় প্রতিবাদে নামেন সাধারণ মানুষ। পুলিস আনাসকে গ্রেফতার করেছে। গ্রামে বিশাল পুলিসবাহিনি মোতেয়েন করা হয়েছে।