মাথার দাম ১২ লক্ষ টাকা, অভিযান চালিয়ে হিজ়বুল প্রধানকে নিকেশ করল নিরাপত্তা রক্ষীরা
সকালেই খবর মিলেছিল, হিজ়বুলের ওই কম্যান্ডার এবং এক সঙ্গী গুলির লড়াইয়ে মারা গিয়েছে। যদিও জম্মু-কাশ্মীর পুলিসের তরফে এই খবর নিশ্চিত করা হয়নি
নিজস্ব প্রতিবেদন: মাথার দাম রাখা হয়েছিল ১২ লক্ষ টাকা। উপত্যাকার মোস্ট ওয়ান্টেট তথা হিজ়বুল মুজাহাদিনের প্রধান রিয়াজ় নাইকুকে নিকেশ করল নিরাপত্তা রক্ষীরা। মঙ্গলবার রাত থেকেই পুলওয়ামা জেলার বেঘপোরায় চলছিল তল্লাশি অভিযান। একই সঙ্গে দক্ষিণ কাশ্মীরের আরও দুই জায়গায় অভিযান চালানো হয়। পামপোরের শারশিল গ্রামে গুলির লড়াইয়ে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর মিলেছে।
হিজ়বুল মুজাহিদিনের অন্যতম নেতা রিয়াজ় নাইকুকে মোস্টা ওয়ান্টেট বলে ঘোষণা করে জম্মু-কাশ্মীর পুলিস। মাথার দাম রাখা হয়েছিল ১২ লক্ষ টাকা। জম্মু-কাশ্মীর পুলিসের প্রাক্তন ডিজি এস পি বৈদ জানান, হিজ়বুল প্রধান বুরহান ওয়ানির পরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছিল নাইকু। ২০১৬ সালে জুনে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় বুরহানের। তার পরই হিজ়বুলের দায়িত্ব পায় নাইকু।
আরও পড়ুন- শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে আবার নতুন বিপদের আশঙ্কা, সতর্ক করল রেল
সকালেই খবর মিলেছিল, হিজ়বুলের ওই কম্যান্ডার এবং এক সঙ্গী গুলির লড়াইয়ে মারা গিয়েছে। যদিও জম্মু-কাশ্মীর পুলিসের তরফে এই খবর নিশ্চিত করা হয়নি। শুধুমাত্র জানানো হয়েছে, এখনও গুলির লড়াই চলছে। ওই জঙ্গি হিজ়বুলের প্রথম সারির কম্যান্ডার এবং জম্মু-কাশ্মীরের মোস্ট ওয়ান্টেড। পুলিস সূত্রে খবর, জঙ্গি কার্যকলাপে স্থানীয় কাশ্মিরিদের কাজে লাগানো হচ্ছে। কখনও জম্মু-কাশ্মীর পুলিস কর্মীদের হত্যা করে কিংবা ভয় দেখিয়ে তাঁদের ইস্তফা দিতে বাধ্য করছে হিজ়বুল মুজাহিদিন। বাইরে থেকে লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠন মদত দিচ্ছে বলে খবর।
গত এক মাস ধরে কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গিপনা অব্যাহত। শহিদ হয়েছেন ২২ নিরাপত্তা রক্ষী। করোনা আবহের সুযোগ নিয়ে কাশ্মীরকে উত্তপ্ত করতে তত্পর হয়েছে জঙ্গিসংগঠনগুলি। গত রবিবার কুপওয়াড়ায় গুলি লড়াইয়ে শহিদ হন কর্নেল এবং মেজর র্যাঙ্কের দুই সেনা কর্মী। মোট পাঁচ নিরাপত্তা রক্ষীর মৃত্যু হয় এ দিন। সোমবার সিআরপিএফ এক দলের উপর হামলা চালানোয় ৩ নিরাপত্তা রক্ষীর মৃত্যু হয়েছে।