নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লির হিংসাকে দুনিয়ার কাছে যে ভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তা দুর্ভাগ্যজনক বলে লোকসভায় ব্যাখ্যা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার লোকসভায় দিল্লির হিংসা বিষয়ে আলোচনা চলে। বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন পুলিস এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে। হিংসার সময় কোথায় ছিলেন স্বরষ্ট্রমন্ত্রী? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভ্যর্থনা জানাতেই ব্যস্ত ছিলেন বলে অমিত শাহের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। তিনি ট্রাম্পকে তাজমহল দেখাতে নিয়ে গিয়েছেন, এমনও কটাক্ষ উড়ে আসে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, দিল্লির হিংসার সময় দিল্লিতেই ছিলেন। পুলিস, প্রশাসনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত পূর্ব নির্ধারিত এবং নিজের কেন্দ্রে। প্রোটোকল অনুযায়ী তাঁকে যেতে হয়। কিন্তু পরের দিন রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে মধ্যাহ্ন এবং নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেননি বলে জানান তিনি। শাহের কথায়, তাজমহলে যাওয়া তো প্রশ্নই ওঠে না।  ২৪ ফেব্রুয়ারি (হিংসার দিন) সন্ধে থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনভর পর্যন্ত বৈঠক করেছেন তিনি। অজিত দোভালকে দিল্লি পরিদর্শনে পাঠানো হয় তাঁরই নির্দেশে।


আরও পড়ুন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি থানায় বসে তদারিক করবেন? দিল্লির হিংসা নিয়ে কংগ্রেসকে একহাত মীনাক্ষীর


দিল্লি পুলিসের ভূমিকা নিয়ে শাহ জানান, উত্তর পূর্ব দিল্লিতে ২০ লক্ষ মানুষের বাস। জনঘনত্ব বেশি। হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায় একসঙ্গে বসবাস করে। সেখানে যে ভাবে দ্রুত হিংসা ছড়ায়, পুলিসের প্রাথমিক কাজ ছিল হিংসা নিয়ন্ত্রণে আনা। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ২০টি থানার মধ্যে হিংসা আটকানো গেছে। এর জন্য দিল্লি পুলিসকে সাবাশি দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মাত্র ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হিংসা রুখে দেওয়া গেছে বলে এদিন দাবি করেন অমিত শাহ। প্রশ্ন ওঠে, ঘটনাস্থলে কেন যাননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? উত্তরে অমিত শাহ বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য দিল্লি পুলিস ব্যস্ত থাকতো। সে সময় হিংসা নিয়ন্ত্রণে পুলিসের থাকা উচিত।”