নিজস্ব প্রতিনিধি— রেলের এক অফিসারের ছেলে এসেছিলেন জার্মানি থেকে। তাঁর শরীরে ছিল করোনাভাইরাসের উপসর্গ। কিন্তু বিদেশফেরত করোনা আক্রান্ত ছেলেকে রেলেরই গেস্ট হাউসে লুকিয়ে রেখেছিলেন রেলের সেই অফিসার। এদিকে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সেই যুবককে হোম কোয়ারান্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু সেই যুবক ও তাঁর পরিবারের লোকজন কথা শোনেননি। একই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন কলকাতার এক আমলার ছেলে। লন্ডন থেকে ফিরে শরীরের করোনার জীবাণু নিয়ে সেই যুবক শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। সারা দেশে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার একের পর এক ঘটনা সামনে এসেছে। তাই এবার কেন্দ্রীয় সরকার করোনা রোধে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ও মহামারী আইন অনুযায়ী এই সময় কেন্দ্রীয় সরকারে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে। এবার সরকারি নির্দেশ না মানলে শাস্তি ভোগ করতে হতে পারে। জানিয়ে দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। হোম কোয়ারান্টিনের নির্দেশ না মানলে হতে পারে ছমাসের জেল। সেইসঙ্গে এক হাজার টাকা আর্থিক জরিমানাও দিতে হতে পারে। বিদেশফেরত বা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সরকারি নির্দেশ মেনে চলতে হবে। সতর্কতা না মানলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক।


আরও পড়ুন—  রবিবার রেলেও 'কার্ফু', চলবে না লোকাল, দূরপাল্লা ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন


করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা কাউকে অন্তত ১৪দিন হোম কোয়ারন্টিনে থাকার নির্দেশ দিচ্ছে প্রশাসন। কিন্তু অনেকেই সেই নির্দেশ মানছেন না। ঘুরে বেড়াচ্ছেন যেখানে সেখানে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ পালন করছেন না। যার ফলে একসঙ্গে বহু মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছেন তাঁরা। এই প্রবণতা রোধ করতেই প্রশাসন এবার কড়া দাওয়াই দিতে চাইছে। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে রাজ্যগুলিতে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।