`বিশ্বমানচিত্র থেকে ভারতকে মুছে দেওয়ার প্ল্যান ছিল`, চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি হানিপ্রীতের
বিদেশে গিয়ে `সেটল` করার প্ল্যান ছিল তার ও গুরমিতের। সেইজন্য প্রথমে নেপালে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল তারা। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যেতেই নতুন ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা আঁটে হানিপ্রীত।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ধর্ষক 'বাবা' রাম রহিমের সঙ্গে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। পরিকল্পনা ছিল বিদেশেই রাম-রহিমের সঙ্গে থিতু হওয়ার। হানিপ্রীতকে জেরায় মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জেরায় হানিপ্রীত স্বীকার করেছে, পুলিসের ঘেরাটোপ থেকে গুরমিতকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করার জন্যই পরিকল্পনা করে হিংসা ছড়ানো হয়। শুধু তাই নয়, হানিপ্রীত সহ অন্য ডেরা সদস্যদের জেরায় মিলেছে আরও চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন দেশবিরোধী কাজকর্মের সঙ্গেও নিজেকে যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছিল হানিপ্রীত।
জানা গিয়েছে, পাঁচকুলায় হিংসা ছড়ানোর নকশা তৈরি হয় ১৭ অগাস্ট। হানিপ্রীতের নেতৃত্বেই পুলিস, সুরক্ষা বাহিনীর উপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল। সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি নষ্ট, এমনকি সংবাদমাধ্যমের উপর হামলারাও ষড়যন্ত্র করেন হানিপ্রীত। পরিকল্পনা মতো এরপরই বেআইনি টাকার সাহায্যে গুন্ডাদের ভাড়া করা হয়। সবকিছু ছক অনুযায়ীই চলতে থাকে। রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করার সঙ্গে সঙ্গে ২৫ অগাস্ট হিংসা ছড়িয়ে পড়ে পাঁচকুলায়।
পুলিসকে হানিপ্রীত জানিয়েছে, বিদেশে গিয়ে 'সেটল' করার প্ল্যান ছিল তার ও গুরমিতের। সেইজন্য প্রথমে নেপালে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল তারা। প্ল্যান মতো একটি স্যুটকেসের মধ্যে নিজের ও গুরমিতের পাসপোর্ট, ডেরার সম্পত্তির নথি, খালি চেকবুক, ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র ভরে নিয়েছিল হানিপ্রীত। প্রসঙ্গত সেই স্যুটকেস নিয়েই আদালতে গিয়েছিল সে। এমনকি, যে গাড়িতে করে রাম রহিমকে রোহতক থেকে পাঁচকুলায় নিয়ে আসা হয়, সেই গাড়ির মধ্যেই রাখা হয় সেই স্যুটকেসটি।
আরও পড়ুন, প্রেমিক ধর্ম পরিবর্তন করলে তবেই বিয়ে, ধনুকভাঙা পণ প্রেমিকার
তবে পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে ২৫ অগাস্ট রাতে ডেরা সাচা সওদাতেই ফিরে আসে হানিপ্রীত। এরপর ২৭ অগাস্ট ওই স্যুটকেস সঙ্গে নিয়েই ডেরা ছেড়ে অজ্ঞাতবাসে চলে যায় হানিপ্রীত। জেরায় হানপ্রীত পুলিসকে জানিয়েছে, এরপরই সে ও ডেরার মুখপাত্র আদিত্য ইনসান গুরমিতের গ্রেফতারির প্রতিশোধ নিতে বিশ্বমানচিত্র থেকে ভারতকে মুছে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। হানিপ্রীতের এই চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তির পরই নড়েচড়ে বসেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।