টাকা নেই, আইনজীবী রাখতে পারছেন না `গরিব` হানিপ্রীত
গুরমিত জেলে যাওয়ার পর হানিপ্রীত ফেরার হয়ে যান। তখনই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করে দেওয়া হয়। হিংসা ছড়ানো ও দেশদ্রোহীমূলক কাজকর্মে যুক্ত থাকার দায়ে ৩ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় হানিপ্রীতকে। বর্তমানে রোহতক জেলেই বন্দি রয়েছেন হানিপ্রীত।
নিজস্ব প্রতিবেদন : একসময় রাজরানির হালে দিন কাটিয়েছেন। বৈভব, বিলাসব্যসনে অভ্যস্ত ছিল জীবন। কোটি টাকার মালকিন সেই হানিপ্রীতকে এখন হাত পেতে টাকা চাইতে হচ্ছে। টাকার অভাবে নিজের জন্য আইনজীবী রাখতে পারছেন না। জেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখে সেকথা জানালেন 'ধর্ষক বাবা' রাম রহিমের পালিতা কন্যা হানিপ্রীত।
চিঠিতে হানিপ্রীত লিখেছেন, পাঁচকুলা বিশেষ তদন্তকারীদল ইতিমধ্যেই চার্জশিট ফাইল করেছে। শুরু হয়েছে শুনানিও। কিন্তু তাঁর কাছে নিজের জন্য আইনজীবী নিয়োগ করার মত কোনও টাকা নেই। নিজের দুরবস্থার কথা জানিয়ে 'বাবা' রাম রহিমের পালিতা কন্যা লিখেছেন, "আমি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছি। আইনজীবীকে পারিশ্রমিক দেওয়ার টাকাও আমার নেই।" আইনজীবী নিয়োগ করার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে লেখা চিঠিতে নিজের তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার অনুমতি চেয়েছেন হানিপ্রীত। প্রসঙ্গত, গুরমিত জেলে যাওয়ার পর হানিপ্রীত ফেরার হয়ে যান। তখনই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করে দেওয়া হয়।
দুই সাধ্বীকে ধর্ষণের দায়ে গুরমিত সিংকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে রোহতকের বিশেষ আদালত। গুরমিতকে দোষী ঘোষণা করার পরই হরিয়ানা, পঞ্জাব, দিল্লিজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে হিংসা। অন্যদিকে পালিয়ে যান হানিপ্রীত।
আরও পড়ুন, 'বিশ্বমানচিত্র থেকে ভারতকে মুছে দেওয়ার প্ল্যান ছিল', চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি হানিপ্রীতের
তদন্তে উঠে আসে, পরিকল্পনা করেই হিংসা ছড়িয়েছিলেন হানিপ্রীত। যাতে পালিয়ে যেতে পারে গুরমিত। এরজন্য হানিপ্রীত ২ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন বলেও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। হিংসা ছড়ানো ও দেশদ্রোহীমূলক কাজকর্মে যুক্ত থাকার দায়ে ৩ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় হানিপ্রীতকে। বর্তমানে রোহতক জেলেই বন্দি রয়েছেন হানিপ্রীত।