ওয়েব ডেস্ক: আটবছর পরেও যে ভারতের হুঁশ যে ফেরেনি, তা বারবার সামনে আসছে। বারামুলায় জঙ্গিহানাও ফিরিয়ে এনেছে সেই স্মৃতি। ৪৬ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের শিবিরে হানার পরে হাত কামড়াচ্ছেন সেনা গোয়েন্দারা। শিবিরের পাশে ঝিলম নদী পাহারা দেওয়ার কথাটা কারও মাথাতেই আসেনি। আর সেই পথেই জঙ্গিরা ঢোকে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। গোয়েন্দাদের মতে, ডিঙি নৌকায় চেপে ঝিলম বেয়ে কার্যত শিবিরের দোরগোড়ায় পৌছে যায় জঙ্গিরা।


আরও পড়ুন- ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনা কমার লক্ষ্মণ নেই


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ার মতো ঝিলমের পাড়ে পাহারা বসানো হয়েছে। কিন্তু বহু নদীপথ যে আজও অরক্ষিত, সেটা আরও একবার সামনে এল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, করাচি বন্দর থেকে দুটি নৌকাকে ভারতীয় উপকূলের দিকে আসতে দেখা যায়। তাতে প্রচুর পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক ছিল। শুরু থেকেই নৌকা দু’টির উপর নজর রাখা হয়। একটি নৌকার অভিমুখ গুজরাত উপকূলে। অন্যটির অভিমুখ মহারাষ্ট্রের দিকে। সন্দেহজনক দুই জলযান করাচি থেকে ভারতের দিকে আসছে জেনেই নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়।


গুজরাত এবং মহারাষ্ট্র উপকূলে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যেভাবে বিপুল বিস্ফোরক এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে করাচি থেকে ভারতের দিকে আসতে দেখা গিয়েছে নৌকা দুটিকে, তাতে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, আবার মুম্বইয়ের ধাঁচে কোনও হামলার ছক কষেছে জঙ্গিরা। এখানেই শেষ নয়, মঙ্গলবার পঞ্জাবের রবি নদীতে একটি পরিত্যক্ত পাক নৌকো আটক করেছে BSF। পাঠানকোট সেক্টরে টোটা গুরু পোস্টের কাছে এই নৌকোটি আটক করা হয়। তবে নৌকাতে কোনও যাত্রী ছিল না। কীভাবে সকলের নজর এড়িয়ে ভারতীয় জলসীমা লঙ্ঘন করল এই নৌকো, খতিয়ে দেখছে BSF। এরপরই গোটা এলাকায় তল্লাসি চালায় পুলিস। দুদিন আগেই গুজরাত উপকূলের কাছে আরও একটি পাক নৌকো আটক করে উপকূলরক্ষী বাহিনীর জলযান সমুদ্র পাভক।


জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় সীমান্তে নজরদারি চালাতে কেন্দ্রের কাছে অতিরিক্ত ১৫ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছে পঞ্জাব সরকার। একটা করে ঘটনা ঘটে, আর তারপর নড়েচড়ে বসে ভারত। কিন্তু ভারতে ঢোকার নদীপথগুলি যে অন্যতম জঙ্গি করিডর, মঙ্গলবার সেই ছবিটা ফের সামনে চলে এল।