নিজস্ব প্রতিবেদন: অত্যাধুনিক ডার্ক ওয়েব প্রযুক্তি ব্যবহার করেই পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা। সিম কার্ড নয়। গোয়েন্দা নজর এড়াতে বেতার তরঙ্গের সাহায্যে সাংকেতিক মেসেজ আদানপ্রদান জঙ্গিদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ছক কষেই পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। রাওয়ালপিণ্ডির সেনা হাসপাতালে শুয়েই হামলার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছিল জইশ প্রধান মাসুদ আজহার। হামলার দায়িত্ব পায় মাসুদ ঘনিষ্ঠ কামরান। এই অপারেশনের জন্য আদিল আহমেদকেই আত্মঘাতী জঙ্গি হিসেবে নির্বাচিত করে কামরান। NIA তদন্তে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।  পাক ভূখণ্ড থেকে এতবড় একটা হামলার ছক কষা হচ্ছে, গোয়েন্দাদের কাছে যাতে এতটুকু তথ্য ফাঁস না হয়, তার জন্য আগাগোড়া সতর্ক ছিল জঙ্গিরা। 


আরও পড়ুন- ১৮ ঘণ্টার লড়াই শেষ, খতম পুলওয়ামা হামলার মূলচক্রী কামরান-সহ ৩ জঙ্গি, শহিদ ৫


প্রচলিত সিম কার্ড নয়। পুলওয়ামা বিস্ফোরণে অত্যাধুনিক ডার্ক ওয়েব প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা। গোয়েন্দা নজরদারি  এড়াতে পিয়ার টু পিয়ার সফ্টওয়্যারের সাহায্যে YSMS-এর মাধ্যমেই  সাংকেতিক মেসেজ আদানপ্রদান করত জঙ্গিরা। হামলার পর সেরকমই দুটি বার্তা উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। একটিতে লেখা ছিল - মুজাহিদিন জৈশ মহম্মদের সফল শেষকৃত্য। অন্য বার্তায় লেখা ছিল - হামলায় অসংখ্য ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু, ধ্বংস একাধিক গাড়ি।


উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে দুই ব্যক্তির মধ্যে সাংকেতিক ভাষায় YSMS পাঠানো হয়। যার মূল মাধ্যম হল রেডিও সেট। মোবাইল হ্যান্ডসেটের সঙ্গে যুক্ত থাকে একটি রেডিও সেট। আর সেই রেডিও সেটের বেতার তরঙ্গকেই ওয়াইফাই হিসেবে ব্যবহার করে বার্তা পাঠানো হয়। এরফলে শুধু মেসেজের গোপনীয়তাই রক্ষা করা সম্ভব হয় তা নয়। গোয়েন্দাদের রেডারেও তা ধরা পড়ে না।


আরও পড়ুন- পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা: পাকিস্তানকে টমেটো বিক্রি বয়কট করল মধ্যপ্রদেশের চাষিরা


২০১২ সাল থেকে সক্রিয় ডার্ক ওয়েব প্রযুক্তি। পাক ভূখণ্ডে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলি এই প্রযুক্তির অত্যাধুনিক ভার্সান ব্যবহার করে। যারমধ্যে অন্যতম লস্কর এবং জৈশ। দুহাজার পনেরো সালে পাক জঙ্গি সাজ্জাদ আহমেদকে গ্রেফতারের পর YSMS প্রযুক্তি সামনে আসে। তবে এখনও তার কোড উদ্ধার করতে পারেনি ভারতীয় সেনা। সে কারণেই সম্ভবত পুলওয়ামা হামলার আঁচ পাননি গোয়েন্দারা।