জঙ্গি হানায় কতটা প্রস্তুত NSG?
রাজ্যে বড়সড় জঙ্গিহানার মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত NSG? প্রশ্ন খোদ NSG-র মধ্যেই। NSG- র কলকাতা হাবের পরিকাঠামোগত দুর্বলতা ও IED মোকাবিলায় দুর্বলতা, NSG-র প্রস্তুতির অভাবকেই আরও স্পষ্ট করেছে।
ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যে বড়সড় জঙ্গিহানার মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত NSG? প্রশ্ন খোদ NSG-র মধ্যেই। NSG- র কলকাতা হাবের পরিকাঠামোগত দুর্বলতা ও IED মোকাবিলায় দুর্বলতা, NSG-র প্রস্তুতির অভাবকেই আরও স্পষ্ট করেছে।
জঙ্গি হানার আশঙ্কা। কতটা প্রস্তুত NSG?
বড়সড় জঙ্গি হানার শিকার হতে পারে কলকাতার NSG -হাবও। সাম্প্রতিক গোয়েন্দা রিপোর্টে তেমনই ইঙ্গিত। পাঠানকোটের মতো পরিস্থিতি সামাল দিতে কতটা প্রস্তত এখানকার NSG কমান্ডোরা? প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে তৈরি হয়েছিল অভ্যরন্তীন তদন্ত কমিটি। রিপোর্টে ধরা পড়েছে একাধিক দুর্বলতা।
কোথায় খামতি? মুখোমুখি লড়াইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যালেস্টিক চশমা নেই। খামতি রয়েছে ক্যামেরা ও যোগাযোগের যন্ত্র বসানো হেলমেট, হালকা বুলেট প্রুফ জ্যাকেটের। দূরপাল্লার নিশানার জন্য উপযুক্ত স্নাইপার রাইফেল নেই। নেই জঙ্গি হানার মোকাবিলার জন্য দরকারি ড্রোন ও হেলিকপ্টারও।
কোন জায়গায় খামতি? NSG-র ড্রোন স্কোয়াড্রন মানেসরে। সেখান থেকে ড্রোন আনা সময় সাপেক্ষ নেই নিজস্ব চপার। হেলিকপ্টারের জন্য নির্ভর করতে হয় বায়ু সেনা বা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ওপর। যা সময় সাপেক্ষ।
শুধু পরিকাঠামোগত দুর্বলতা নয়। খামতি রয়েছে IED মোকাবিলার ক্ষেত্রেও। NSG-র ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী পূর্বভারতে নতুন ধরণের IED ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। খাগড়াগড়ের তদন্তে নেমে অত্যাধুনিক এধরণের IED-র সন্ধান পান NSG-র বিশেষজ্ঞরা। নতুন ধরণের এই IED এরআগে ভারতে কোথাও ব্যবহার হয়নি। শুধু জঙ্গিরা নয়, মাওবাদীরাও এধরণের IED -র ব্যবহার শুরু করেছে। পাঠানকোট হামলার সময় নিহত NSG বোমা বিশেষজ্ঞ নিরঞ্জন EK এফবিআই থেকে প্রশিক্ষত ছিলেন। SOP মানার পরও বুবি ট্রাপে প্রাণ হারান তিনি।
এমাসের ৯-১১ তারিখ পর্যন্ত মানেসরে IED মোকাবিলায় বিশেষ কর্মশালার করে NSG। কর্মশালায় শীর্ষকর্তারা স্বীকার করে নেন IED মোকাবিলায় দুর্বলতা রয়ে গিয়েছে। খাগড়াগড়ে এমন কিছু সাধারণ রাসয়নিকের হদিশ মিলেছিল, যা ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ছিল না NSG-র। IED মোকাবিলায় এসব দুর্বলতা অবিলম্বে কাটাতে না পারলে জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়তে হবে আশঙ্কা NSG কর্তাদের।