নিজস্ব প্রতিবেদন: খোদ কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর জন্ম তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হল। তাঁর সিভি-তে লেখা ১৯৫৯ সালে ১৫ অগস্ট। পাসপোর্টে জন্ম তারিখ ওই বছরই ১৫ জুলাই। দুটি নথির ভিন্ন জন্ম তারিখ হওয়ায় বিতর্কের মুখে পড়লেন মানবসম্পদ উন্নয়নের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক।। এ প্রসঙ্গে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, হিন্দু জ্যোতিষ মতে তাঁর দুটি জন্মের তারিখ। কিন্তু কোনও জায়গায় এই তথ্য লুকাননি বলে দাবি নিশঙ্কের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


হরিদ্বারের সাংসদ পোখরিয়াল তাঁর ওপেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-র (ওআইইউ) শংসাপত্র পেশ করতেই বিতর্ক সামনে আসে। ৩০ দিনের ব্যবধানে তাঁর দুটি জন্মের তারিখ। পাসপোর্ট, স্কুল সার্টিফিকেট, সিভি সব জায়াগায় ভিন্ন জন্ম তারিখ। তবে, পোখরিয়ালের দাবি, এই তথ্য যেমন কোথাও লুকাননি, তেমনই এর সুবিধাও নেননি।


উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পোখরিয়ালের শিক্ষাগত শংসাপত্র ভুয়ো বলে অভিযোগ ওঠে। কলম্বোর ওপেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে সাহিত্য এবং বিজ্ঞানে ডিলিট ডিগ্রি রয়েছে পোখরিয়ালের। কিন্তু তদন্ত করে জানা গিয়েছে, শ্রীলঙ্কার ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন (মঞ্জুরি কমিশন) এবং বিশ্ববিদ্যালেয় নিয়ম অনুযায়ী ওই বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষা স্তরের অন্তর্ভুক্ত নয়। পাশাপাশি, আন্তার্জিক তকমা দেওয়ার অধিকারও নেই ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের।


আরও পড়ুন- আঞ্চলিক ভাষা ও উপভাষা সংরক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করবে কেন্দ্র


প্রাক্তন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতাও প্রশ্নের মুখে পড়ে। ২০১৪ সালে নির্বাচনে হলফনামায় স্নাতক বলে দাবি করেছিলেন কিন্তু এই নির্বাচনে গ্র্যাজুয়েট নন বলে জানান স্মৃতি। বিতর্কের মুখে পড়তেই স্মৃতিকে সরিয়ে প্রকাশ জাভড়েকরকে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী করা হয়।