সহকর্মী নার্সের সঙ্গে পরকীয়া, হাসপাতাল থেকেই `মারণ` ওষুধ চুরি করে ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাল স্বামী!
স্বামী স্বপ্নিল সাওয়ান্ত যে হাসপাতালে কাজ করে সেখানকার ফার্মাসি থেকে বেশ কিছু ওষুধ ও ইনজেকশন চুরি করেছে। যার মধ্যে রয়েছে ভেকিউরোনিয়াম ব্রোমাইড, নাইট্রোগ্লিসারিন ইনজেকশন ও লক্স ২%।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সহকর্মী নার্সের সঙ্গে পরকীয়া। আর তাই 'মারণ' ওষুধ প্রয়োগে স্ত্রীকে খুন করল হাসপাতাল কর্মী স্বামী। পেশায় সে-ও ব্রাদার। ভয়ংকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পুনেতে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। মৃতার নাম প্রিয়াঙ্কা ক্ষেত্রে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, যে হাসপাতালে অভিযুক্ত স্বামী চাকরি করে, সেখানেই কর্মরত সহকর্মী এক নার্সের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে। শুধু সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া-ই নয়। যুগলে বিয়ের পরিকল্পনাও করে। কিন্তু সেখানে 'পথের কাঁটা' হয়ে দাঁড়ায় স্ত্রী। আর তাই স্ত্রীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে স্বামী। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। ২৩ বছর বয়সী ওই ব্রাদার স্ত্রীর শরীরে প্রয়োগ করে 'বিষাক্ত' ওষুধের ইনজেকশন। আর তাতেই মৃত্যু হয় স্ত্রীর।
স্ত্রীকে খুনের পর অপরাধ ঢাকতে রীতিমতো গল্পও ফাঁদে কীর্তিমান স্বামী। স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে চালিয়ে দিতে চায় অভিযুক্ত স্বপ্নিল সাওয়ান্ত। পরিকল্পনা ছিল, স্ত্রীকে খুনের ঘটনা আত্মহত্যার মোড়কে ধামাচাপা দিয়ে তারপর সহকর্মী ওই নার্সকে বিয়ে করা। কিন্তু তার সেই পরিকল্পনা খাটেনি। ভেস্তে যায়। তার কুকর্ম সামনে আসতেই পুলিস গ্রেফতার করে তাকে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত স্বপ্নিল সাওয়ান্ত মাস পাঁচেক আগে প্রিয়াঙ্কা ক্ষেত্রেকে বিয়ে করে।
১৪ নভেম্বর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায় অভিযুক্ত-ই। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এমনকি এই ঘটনায় একটি ভুয়ো সুইসাইড নোট প্রিয়াঙ্কার সই করা, তাও উদ্ধার করে পুলিস। যার ভিত্তিতে গার্হস্থ্য হিংসা মামলা রুজু করে পুলিস। কিন্তু তদন্ত প্রক্রিয়া চলার সময় সামনে আসে আসল ঘটনা। জানা যায়, স্বামী স্বপ্নিল সাওয়ান্ত যে হাসপাতালে কাজ করে সেখানকার ফার্মাসি থেকে বেশ কিছু ওষুধ ও ইনজেকশন চুরি করেছে। যার মধ্যে রয়েছে ভেকিউরোনিয়াম ব্রোমাইড, নাইট্রোগ্লিসারিন ইনজেকশন ও লক্স ২%। আর সেগুলো প্রয়োগে সে-ই খুন করেছে তার স্ত্রীকে।
আরও পড়ুন, Tata Group, Bisleri: বড় চমক, ৭০০০ কোটিতে বিসলেরি কিনছে টাটা!