নিজস্ব প্রতিবেদন : "আমার মাথা কাজ করেনি। আমি শুধু গলা চিরে দিয়েছি", জেরায় এই একটা কথাই বার বার বলে চলেছে প্রদ্যুম্ন খুনে অভিযুক্ত রায়ান ইন্টারন্যাশনালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রটি। অভিযুক্ত একাদশ শ্রেণির ছাত্রকে বুধবারই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, জেরায় অভিযুক্ত ছাত্র জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার ছুতোয় প্রদ্যুম্নকে বাথরুমে ডেকে নেয় সে। এরপরই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সে প্রদ্যুম্নের গলা চিরে দেয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৮ সেপ্টেম্বর রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় প্রদ্যুম্নের দেহ। এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে স্কুলবাসের খালাসি অশোক কুমারকে গ্রেফতার করে হরিয়ানা পুলিস। অভিযোগ করা হয়, প্রদ্যুম্নকে যৌন হেনস্থার পর খুন করেছে অশোক। যদিও অশোকের পরিবার বার বারই এই ঘটনায় মিথ্যা দোষারোপের অভিযোগ তোলে। ছেলের আসল খুনিকে খুঁজে বের করতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় প্রদ্যুম্নের পরিবারও।


চাপের মুখে এরপরই প্রদ্যুম্ন খুনের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তদন্তের দায়িত্বভার হাতে নিয়েই রায়ান স্কুলের মোট ১২৫ জন সিনিয়র ছাত্র ও শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। একইসঙ্গে সংগ্রহ করা হয় রক্তের নমুনাও। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিভাবকদেরও। এদিকে প্রদ্যুম্ন খুনের পর্দা ওঠার পরই রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে বসানো হয়েছে মেটাল ডিটেক্টর। প্রসঙ্গত, স্কুলছাত্রদের জেরায় জানা যায় খুনের কয়েকদিন আগেই অভিযুক্ত ছাত্রের কাছে ছুরি দেখতে পেয়েছিল কয়েকজন।


পাশাপাশি, প্রদ্যুম্ন খুনের তদন্তে প্রথম থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়ে হরিয়ানা পুলিস। অভিযোগ ওঠে, অশোক কুমারকে দিয়ে জোর করে স্বীকারোক্তি লিখিয়ে নিয়েছে হরিয়ানা পুলিস। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে তদন্ত প্রভাবিত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। যদিও তাদের উপর কোনও রাজনৈতিক চাপ ছিল না বলেই জানিয়েছে হরিয়ানা পুলিস। একইসঙ্গে হরিয়ানা পুলিসের দাবি, প্রমাণ জোগাড় করা হচ্ছিল। তদন্ত মোটেই বন্ধ করা হয়নি।


আরও পড়ুন, প্রদ্যুম্নকে খুনের দিন নীলছবি দেখে অভিযুক্ত ছাত্র, চলছিল মানসিক চিকিত্সা