ওয়েব ডেস্ক : নির্বাচনে ইন্দ্রপতন নতুন নয়। তবে এবারের ভোটে সব কিছুকেই  ছাপিয়ে গেল ভোট-ময়দানে ইরম শর্মিলা চানুর শোচনীয় পরাজয়। দেশজুড়ে আফস্পার বিরুদ্ধে আন্দোলনের মুখ হয়ে ওঠা আয়রন লেডি ভোট পেয়েছেন ১০০টিরও কম। যে ফল নিঃসন্দেহে বুঝিয়ে দিল চিত্রাঙ্গদার রূপ বদল মেনে নেয়নি মনিপুর। তাই এবার যে কোনও ধরনের রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন চানু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লাগাতার অনশন। বার বার গ্রেফতার। ফোর্স ফিডিং। তবু লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন শর্মিলা চানু। উত্তরপূর্বে সেনার বিতর্কিত বিশেষ ক্ষমতা আইন আফস্পার বিরুদ্ধে যার একার আন্দোলন নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা রাষ্ট্রকে। আন্দোলনের সেই পথই তাঁর নাম ঠিক করে দিয়েছে আয়রন লেডি। কিন্তু হঠাত্ই সেই পথে বদল। সকলকে চমকে দিয়ে ১৬ বছরের লাগাতার অনশন প্রত্যাহারের ঘোষণা মণিপুরের আয়রন লেডির। সেই সঙ্গে ঘোষণা নতুন দল People’s Resurgence and Justice Alliance (PRAJA), তৈরি করে ভোটে লড়ার।


আরও পড়ুন- শর্মিলার সংগ্রাম ভুলে গেল মণিপুরের মানুষ?


কিন্তু, বেঁকে বসেছিলেন সহযোদ্ধারা। আন্দোলনের পথ বদলকে তাঁরা সরাসরি রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র বলে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন খোদ শর্মিলাকেই। সেই ক্ষোভের আঁচ পৌছেছিল চানুর নিজের ঘরেও। বরাবর মেয়ের আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানো শর্মিলার মা পর্যন্ত প্রকাশ্যে মেয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন।


তবু ভোট-ময়দানে লড়াই থেকে পিছিয়ে আসেননি  চানু। নিজের PRAJA পার্টির হয়ে প্রথমবার ভোট-যুদ্ধে প্রতিপক্ষ হিসেবে বেছেছিলেন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী ওকরাম ইবোবি সিংকে। সেই তারকা লড়াইয়ে শেষপর্যন্ত শোচনীর হার হল মনিপুরের শর্মিলা চানুর। ভোট পেলেন নোটা থেকেও কম, মাত্র ৯০টি।
ঘরের মেয়ের দিক থেকে মনিপুরের এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া তাঁর আন্দোলনে পথ বদল নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল।