নিজস্ব প্রতিবেদন: ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ল বেড়াল। যাকে এতদিন মনে করা হচ্ছিল শান্তির বার্তা, দেখা যাচ্ছে, তা স্রেফ অশান্তি ডেকে আনার ভয়ে করা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একজন পাক সাংসদ বুধবার সংসদে কবুল করলেন যে, ইমরান খান সরকার যে পাক মাটিতে ধরা পড়া ভারতীয় বায়ু সেনার পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে হঠাৎ করে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা পাছে ভারত  আক্রমণ করে এই ভয়ে।


সেদিনের ঘটনা সবাই জানে। সময়টা ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি। ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়া পাক এয়ারক্র্যাফ্ট এফ-১৬-কে গুলি করে নামিয়েছিলেন অভিনন্দন বর্তমান। এ দিকে বায়ুযুদ্ধ চলাকালীন অভিনন্দনের এয়ারক্র্যাফ্টও পাকসীমানায় ঢুকে পড়ে। পাক সেনারা গুলি করে নামায় তাঁকে। এবং বন্দি করে।


পাকিস্তান মুসলিম লিগ-এন (পিএমএল-এন) নেতা আয়াজ সাদিক জানান, অভিনন্দনকে নিয়ে বিদেশ মন্ত্রী শাহ মাহমুদ খুরেশি একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান যদি অভিনন্দনকে না ছাড়ে তাহলে সেদিনই রাত ন'টায় পাকিস্তান আক্রমণ করবে ভারত। একটি সংবাদ মাধ্যম সাদিককে উদ্ধৃত করে এটা দাবি করেছে। 


ওই সংবাদ মাধ্যম সাদিকের বয়ান তুলে দিয়েছে। দেখা যাচ্ছে সেখানে সাদিক বলেছেন, সেই মিটিংয়ে শাহ মাহমুদ খুরেশি ছিলেন। ইমরান মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে চাননি। মিটিং যেখানে হচ্ছিল, সেই ঘরে চিফ আর্মি জেনারেল কোয়ামার জাভেদ বাজওয়া ঘামতে-ঘামতে ঢুকেছিলেন, তাঁর হাঁটু কাঁপছিল। বিদেশমন্ত্রী নাকি বলেছিলেন, আল্লার দোহাই, অভিনন্দনকে ছেড়ে দেওয়া হোক। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, বিরোধীরা সব ইস্যুতেই সরকারকে সমর্থন করেছে, কিন্তু যুদ্ধ লেগে গেলে তারা আর সরকারকে সমর্থন করতে পারবে না। সব মিলিয়েই সেদিন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ আবহ খুবই জটিল হয়ে পড়েছিল। 


২০২৯-এর ১ মার্চ আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফেরেন অভিনন্দন। প্রসঙ্গত, পরে তিনি বীরচক্রে ভূষিত হয়েছিলেন।


আরও পড়ুন: এখন মহাকাশেও বন্ধুত্ব ভারত-আমেরিকার