রেজাল্ট, ফেল, আত্মহত্যা! বাচ্চাদের মোটিভেট করতে মার্কশিট শেয়ার করলেন IAS অফিসার
জীবনের আসল লড়াই বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়েই লড়তে হয়! এই সহজ সত্যিটাই কি এখনকার বাচ্চারা বুঝতে পারছে না!
নিজস্ব প্রতিবেদন- জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। তাতেই অকৃতকার্য। এর পরই মর্মান্তিক পরিণতি। এমন ঘটনা তো এখন অনেক শোনা যায়। বাচ্চারা নিজেদের ব্যর্থতা মেনে নিতে পারছে না। ফলে অল্প বয়সেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছে তারা। তা হলে উপায় কী! সত্যিই কি মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হলে জীবনে সব পথ বন্ধ হয়ে যায়! নাকি মার্কশিট কেবল একটা কাগজের টুকরো। জীবনের আসল লড়াই বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়েই লড়তে হয়! এই সহজ সত্যিটাই কি এখনকার বাচ্চারা বুঝতে পারছে না! নাকি বড়রা তাদের জীবনের সঠিক মার্গ দেখাতে পারছে না!
মাধ্যমিক, আইসিএসই, সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষার ফল প্রকাশ পেয়েছে। কেউ দারুণ নম্বর পেয়ে পড়াশোনার পরের ধাপের দিকে এগিয়েছে। কারও আবার প্রাপ্ত নম্বর ভাল নয়। কেউ অকৃতকার্য হয়েছে। অর্থাত্, পরের ধাপে পৌঁছনোর জন্য আরও একটি বছর তাকে অপেক্ষা করতে হবে। চারিদিকে টপার্স-দের সাক্ষাত্কারের ছড়াছড়ি। কিন্তু অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীদের মনের খেয়াল রাখছে না কেউ। ফলে তাদের মধ্যে সবার অজান্তেই হতাশা বসা বাধছে। ফল হচ্ছে ভয়ঙ্কর। মাধ্যমিক বা সিবিএসই-র ফল গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেই ফলাফল খারাপ হওয়া মানে জীবন থমকে যাওয়া নয়। কারণ জীবনের ব্যপ্তি মাধ্যমিকের গণ্ডিতে আটকে থাকে না। মাধ্যমিকে ভাল নম্বর না পাওয়া ছাত্র জীবনের পরীক্ষায় স্টার মার্কস পেয়েছে, এমন উদাহরণ রয়েছে অনেক। আবার কমবয়সে দারুণ নম্বর পাওয়া ছাত্র বা ছাত্রী জীবনের পরীক্ষায় ফেল করেছে, এমন নিদর্শনও রয়েছে। তাই হতাশ হওয়া মানেই কিন্তু বোকামি।
আরও পড়ুন- লাথি, ঘুঁষি, লাঠির আঘাত! দলিত চাষি ও তাঁর স্ত্রীর উপর পুলিসের নির্মম অত্যাচারের ভিডিয়ো ভাইরাল
বাচ্চাদের মোটিভেট করতে এবার এগিয়ে এলেন একজন আইএএস অফিসার। পরীক্ষার ফলাফলের এই মরশুমে তিনি নিজের পুরনো মার্কশিট শেয়ার করলেন। সেই মার্কশিটের ছবি ভাইরাল হয়েছে। আইএএস অফিসার। তিনিই কি না সিবিএসএই-তে রসায়নে মাত্র ২৪ পেয়েছিলেন। নীতিন সাংওয়ান নামের সেই আইএএস অফিসার লিখেছেন, দেখুন আমার টুয়েলভের রেজাল্ট। কেমিস্ট্রিতে ২৪ পেয়েছিলাম। মাত্র এক নম্বর বেশি পেয়ে পাস করেছিলাম। কিন্তু সেই নম্বর আমি জীবনে কী হতে চাই সেটা নির্ণয় করে দেয়নি। হতাশায় ডুবে যেও না বাচ্চারা। নম্বরের বোঝা নিয়ে ভেব না. জীবনটা বোর্ড রেজাল্ট-এর থেকে অনেক বড়।