ওয়েব ডেস্ক : বাঙালির অভাব। তাই বাংলা ব্রিগেডকে রুখতে পারেনি দিল্লি। দক্ষ বাঙালি অফিসার বেশি না থাকায় তৃণমূলের কর্মসূচির আগাম খবরই পায়নি দিল্লির গোয়েন্দা মহল। PMO-কাণ্ডে মুখ পোড়ানোর পর এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে ব্যস্ত ইনটেলিজেন্স ব্যুরো।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

PMO-তে বিক্ষোভ। নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ঢুকে পড়া। তৃণমূলের 'সার্জিকাল স্ট্রাইক'? সামরিক পরিস্থিতি হিসেবেই একে দেখছে কেন্দ্র। একেবারে অনুপ্রবেশের সমতূল। ৩২ সাংসদের বাহাদুরিতে প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে নিরাপত্তার করুণ ছবি। বিজেপি অস্বস্তি ঢাকার চেষ্টা করছে। কিন্তু, মোটেই হাল্কাভাবে নিচ্ছে না প্রধানমন্ত্রীর দফতর।


যে কোনও সফল অনুপ্রবেশের পিছনে দু ধরনের ব্যর্থতা থাকে। প্রথমটি নিরাপত্তায় ফাঁক, দ্বিতীয়টি গোয়েন্দা তথ্যের অভাব। তৃণমূলের বিক্ষোভের পিছনেও গোয়েন্দা তথ্যের অভাবের কথা স্বীকার করে নিচ্ছে ইনটেলিজেন্স ব্যুরো। এজন্য মানব সম্পদের অভাবকেই দুষছে তাঁরা।


IB সূত্রে খবর, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রতি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে নজর রাখা হয়। প্রতিটি বিরোধী দলের ওপর নজর রাখতে IB-র নিজস্ব উপদল বা উইং থাকে । দিল্লিতে দক্ষ বাঙালি অফিসারের অভাব থাকায় তৃণমূলের ওপর নজর রাখার কোনও উইং নেই। ভাষা সমস্যায় অন্য রাজ্যের অফিসাররাও তৃণমূলের ওপর নজর রাখতে গিয়ে অসুবিধায় পড়েন। কলকাতার বাঙালি IB অফিসাররাই দিল্লিতে ফোন করে সেখানে তৃণমূলের সম্পর্কে তথ্য দেন।


দিল্লিতে তৃণমূল কী করবে, কলকাতা থেকে তার সঠিক তথ্য জোগাড় করা অনেক সময় হয় না। ফলে, বুধ ও বৃহস্পতিবার দিল্লিতে তৃণমূলের কোনও কর্মকাণ্ডের কোনও আভাসই ছিল না IB-র কাছে। কার্যত ফাঁকা মাঠে দশ গোল দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। এবার তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা হচ্ছে। এবার অন্যান্য জাতীয় দলের মতোই তৃণমূলকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে IB। তৃণমূলের গতিবিধির আগাম আভাস পেতে সংস্থায় বাঙালি অফিসারের নিয়োগ বাড়ানো হবে।


আরও পড়ুন, ED-র চিঠিতে মোট নাম ১১ জনের, প্রথম ২ গ্রেফতার, এবার কারা?