ওয়েব ডেস্ক : ‘আমি যদি নিজের হাত কাটতে পারি, তাহলে তোমার গলাও পারি কাটতে।’ অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে এভাবেই ভয় দেখিয়েছিল ২২ বছরের এক যুবক। উত্তরপ্রদেশের লাখিমপুরের পর হায়দরাবাদের এমনই একটি ঘটনা সামনে উঠে এল, যা শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে আপনারও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৩ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণের দু’দিন পর অভিযুক্ত আজমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই কিশোরী জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক তাকে প্রতিনিয়ত জ্বালাতন করত। বাবা-মা বাড়ি না থাকলে, অভিযুক্ত যুবক সোজা ওই কিশোরীর বাড়িতে হানা দিত। জোরাজুরিও শুরু করত বিভিন্ন সময়। এরপর যখন অভিযুক্ত যুবকের ফোন ধরা ওই কিশোরী বন্ধ করে দেয়, তখন থেকেই শুরু হয় গন্ডগোল।


ওই কিশোরী জানিয়েছে, বছর ২২-এর ওই যুবক তাকে সব সময় ভয় দেখাত। বলত, ‘আমি একজন খুনি। আমি যা খুশি তাই করতে পারি। তোমার গলাও কেটে দিতে পারি।‘ এরপরই ওই কিশোরীর হাতে টেনে কাটারও চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ।


এখানেই শেষ নয়। এরপর ওই কিশোরীর মায়ের সঙ্গে কথা বলেন আজমের মা। তাঁর ছেলের সঙ্গে যাতে তেরো বছরের কিশোরীর বিয়ে দেওয়া হয়, তার জন্য পিড়াপিড়ি শুরু করেন তিনি। কিন্তু, তাঁর মেয়ের এখনও পুতুল নিয়ে খেলে, বিয়ের বয়স হয়নি বলে এড়িয়ে যান ওই কিশোরীর মা। এরপর ওই যুবকের মা-ই বলেন, ওই বিয়ে না হলে, তাঁর ছেলে যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। সেই সতর্কবার্তা দেওয়ার পর পরই ওই কিশোরীকে গ্রেফতার বছর ২২-এর ওই যুবক।


অপহরণের সময় সাদা রঙের বেশ কিছু ওষুধ খাইয়ে ওই কিশোরীকে অজ্ঞান করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অপহরণের অভিযোগ দায়ের হতেই গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে। তার বিরুদ্ধে অপহরণ, যৌন হেনস্থা সহ আরও বেশ কয়েকটি ধারায় দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ।