নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রীর হেলকপ্টার তল্লাশি চালাতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের রোষের মুখে পড়েছিলেন আইএএস অফিসার মহম্মদ মহসিন। সংবাদমাধ্যমকে মহসিন জানিয়েছেন, অন্ধকারে নিজের সঙ্গে লড়ছেন তিনি। এসপিজি (স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ)-এর নিয়মবহির্ভূত কাজ করার অভিযোগে বরখাস্ত হতে হয় মহসিনকে। যদিও পরে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে তাঁর বিরুদ্ধে শুধুমাত্র শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় কমিশন। কমিশনের সিদ্ধান্তের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ ট্রাইব্যুনাল-এ দ্বারস্থ হন ১৯৯৬ ব্যাচের কর্নাটকের এই অফিসার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


মহম্মদ মহসিন বলেন, “আমি শুধুমাত্র কর্তব্য পালন করেছি। চাপে পড়েই আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত উপযুক্ত কারণ দেখানো হয়নি। অন্ধকারে নিজের সঙ্গেই লড়ছি আমি।” ওড়িশার সম্বলপুরের সাধারণ পর্যবেক্ষক হিসাবে কর্তব্যরত মহসিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হেলিকপ্টারের তল্লাসি চালান এবং ভিডিয়োগ্রাফি দেওয়ার আর্জি জানান। কিন্তু তাঁকে কর্তব্যে গাফিলতি এবং অবাধ্য আচরণের অভিযোহ এনে বরখাস্ত করা হয়।


মহসিন জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী ভিডিয়োগ্রাফি চেয়েছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, যে কারণে আমাকে শাস্তি দেওয়া হল, একই অভিযোগে অভিযুক্ত অন্য এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। কমিশনের বরখাস্ত সিদ্ধান্ত বেআইনি বলে দাবি করেন মহসিন। তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, ভিডিয়োগ্রাফি চাওয়ার সময় কেন বাধা দেয়নি এসপিজি? কেন তাদের নিয়ম বিষয়ে জানানো হয়নি? এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মহসিন। যদিও তাঁর দাবি, এ বিষয়ে কুলুপ এঁটেছে সব পক্ষই।


আরও পড়ুন- জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি শ্যাম্পু ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা গোটা দেশে


বৃহস্পতিবার, মহসিনের মামলার শুনানির সময় সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল জানায়, এসপিজি সবকিছু বিষয়ে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে আমরা তা মনে করি না। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক প্রাইভেট গাড়ি তল্লাসি করা হয়। মহসিন বলেন, “২২ বছর ধরে চাকরি করছি। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। আইনের পথেই লড়াই চালিয়ে যাব।”