নিজস্ব প্রতিবেদন: তবে কি কর্ণাটকের ছোঁয়া লাগতে চলেছে বিহারেও। লোকসভা নির্বাচনের আগে কি ফের বিরোধী শিবিরে ফিরতে চলেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার? প্রশ্ন উঠছে নীতীশেরই এক বক্তব্যে। রবিবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, 'নোট বাতিলের ফলে কার কী সুবিধা হয়েছে?' বলে রাখি, নোট বাতিলকে সমর্থন করেই লালুর হাত ছেড়ে ক্রমশ মোদীর কাছাকাছি এসেছিলেন নীতীশ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন নীতীশ কুমার বলেন, 'আমি নোট বাতিলকে সমর্থন করেছিলাম। কিন্তু নোট বাতিলের ফলে কার কী উপকার হয়েছে। কিছু ক্ষমতাশালী মানুষ তাদের টাকা সরিয়ে ফেলেছে।' 


 



২০১৬ সালের নভেম্বরে ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট বাতিল বলে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুর্নীতি ও কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তবে কঠোর এই সিদ্ধান্তে বিজেপির বাইরে হাতে গোনা রাজনীতিবিদেরই সমর্থন পেয়েছিলেন তিনি। সেই বিরল ব্যক্তিত্বদের তালিকায় সবার ওপরে ছিল নীতীশের নাম। এক সময় মোদী বিরোধিতার মুখ নীতীশ কুমার নোট বাতিলকে প্রকাশ্যে শুধু সমর্থনই করেননি। এমন কঠোর পদক্ষেপ করার জন্য বাহবা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকেও। 


এদিন ব্যঙ্কগুলিকে একহাত নেন নীতীশ। বলেন, 'গরিব মানুষের ঋণ আদায়ে আপনাদের তত্পরতা চোখে পড়ার মতো। কিন্তু বিত্তবানদের সময় সেই তত্পরতা কোথায় যায়?' তাঁর কথায়, 'আমার মনে হয় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় আমূল সংস্কার প্রয়োজন। আমি সমালোচনা করছি না, তবে উদ্বিগ্ন।' 


মিলতে পারে দাবদাহ থেকে মুক্তি, রবিবার বিকেলে দক্ষিণবঙ্গে প্রবল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা


এদিন নীতীশ যখন এসব বলছিলেন তখন মঞ্চেই ছিলেন বিজেপি নেতা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী। পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি বলেন, 'নীতীশবাবু তো আমাদের সঙ্গেই ছিলেন।'
বিশেষজ্ঞরা যদিও বলছেন, এখুনি বিজেপির হাত ছাড়ার সম্ভাবনা নেই নীতীশের। ২০১৯-এ জোট করেই বিহারে লড়বে বিজেপি ও জেডিএস। এদিন ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সমালোচনা করতে গিয়ে বেফাঁসে নোটবাতিলের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি।