ডাক্তারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে গিয়ে সাধারণ মানুষদের অবহেলা বরদাস্ত নয়, শীর্ষ আদালতে ধাক্কা IMA-র
র্ষ আদালত এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ডাক্তারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সাধারণ মানুষকে অবহেলা করা যাবে না। দেশের আইন শৃঙ্খলার সঙ্গে কোনওরকম সমঝোতা বরদাস্ত করা হবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ডাক্তারদের কর্মবিরতি উঠেছে। কিন্তু নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টে বিশেষ কোনও অগ্রাধিকার পেল না IMA। শীর্ষ আদালত এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ডাক্তারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সাধারণ মানুষকে অবহেলা করা যাবে না। দেশের আইন শৃঙ্খলার সঙ্গে কোনওরকম সমঝোতা বরদাস্ত করা হবে না।
প্রসঙ্গত, রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে NRS জুনিয়র ডাক্তারদের মারধরের ঘটনায় গত সাতদিন ধরে স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিষেবা। নিরাপত্তার দাবিতে ডাক্তারদের কর্মবিরতির আঁচ গিয়ে পড়েছিল বাইরের রাজ্যগুলিতেও। আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন এইমস-এর ডাক্তাররা। এরই মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল IMA (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন)। মামলাটি করেন আইনজীবী অলোক শ্রীবাস্তব। IMA-এর তরফে আর্জি জানানো হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্টের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারকে দেশের চিকিত্সকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ব্যাপারে কোনও নির্দেশ দেওয়া হোক।
ফের চেনা ছন্দে সরকারি হাসপাতাল, স্বস্থির নিঃশ্বাস আউটডোরের লাইনে
কিন্তু এদিন শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনও পরিস্থিতিতেই ডাক্তারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে অবহেলা করা চলবে না। আইনকে বাজি রাখা যাবে না। মুমুর্ষু রোগীরা রাস্তায় পড়ে রয়েছে, বিনা চিকিত্সায় রোগীমৃত্যু হচ্ছে, তা মেনে নেওয়া হবে না। দেশের আইন শৃঙ্খলার সঙ্গে সমঝোতা অসম্ভব বলে জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত।
এই মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘ব্ল্যাঙ্ককেট অর্ডার’ পাস করা এখনই যাবে না। বরং এই মামলায় দীর্ঘ আলোচনার পরই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে।
টানা সাত দিন কর্মবিরতির পর , মঙ্গলবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালগুলির আউটডোর পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। ছন্দে ফিরেছে হাসপাতালগুলি। এদিন সকাল থেকেই হাসপাতালগুলির বাইরে রোগীদের লম্বা লাইন। আউটডোরগুলি খোলা।