Ranchi : এটা ২০২২! রাঁচিতে ডাইনি অপবাদে পিটিয়ে মারা হল তিন মহিলাকে...
ওঝা ব্যর্থ হলে দাবি করে, ওই গ্রামের উপর ডাইনিদের কুনজর আছে
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিট্যাল ব্যুরো: সংখ্যাটা এক হাজার! হ্যাঁ, ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) ২০০০ সাল থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার মানুষকে ডাইনি (Witch) অপবাদে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের পুলিসের রিপোর্ট অনুযায়ী এই এক হাজার জনের মধ্যে ৯০ শতাংশই মহিলা। হিসেব করলে সংখ্যাটা প্রতিদিন গড়ে ৩ জন দাঁড়াচ্ছে। ভাবলে অবাক হতে হয়, এই জেট যুগে কিছু মানুষ যখন মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছেন, তখন একদল মানুষ আজও কুসংস্কারে আছন্ন। মানুষ পরস্পরের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে কিছু মিথ্যা অভিযোগ ও শিক্ষার অভাবে। রিপোর্ট (Report) অনুযায়ী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডে ৫ জনকে ডাইনি অপবাদে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ৪ জন মারা যান। তা হলে প্রশ্ন, এখন সংখ্যাটা বেড়ে কত জনে দাঁড়াল? কবে কমবে এই সংখ্যা?
সম্প্রতি এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা উঠে এল ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে। ঘটনাটি ঘটেছে রাঁচির রানাডি নামে একটি গ্রামে। পুলিস সূত্র অনুযায়ী, রাজকিশোর মুণ্ডা নামে এক ছেলেকে সাপে কামড়ানোর পর, ডাক্তারের কাছে না নিয়ে গিয়ে, গ্রামবাসী ওঝার কাছে নিয়ে যায়। সেই ওঝা ঝাড়ফুঁক করে রাজকিশোরকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। ব্যর্থ হলে দাবি করে, ওই গ্রামের উপর ডাইনিদের কুনজর আছে। আরও বলে, সেই গ্রাম নাকি ডাইনিদের অভিশাপে অভিশপ্ত বলে ছেলেটাকে বাঁচানো যায়নি। এই ঘটনার কিছুদিন পর ওই গ্রামেই আরও এক শিশুকে সাপে কামড়ায়। কিন্তু এবারে সেই শিশুকে চিকিৎসা করে সুস্থ করে তোলা হয়। এই ঘটনার পর গ্রামবাসীরা নিশ্চিত হয় যায় যে, গ্রামে ডাইনিদের কুনজর আছে। আর তারপরই গ্রামের বাসিন্দা রাইলু দেবী (৪৫ বছর), ঢোলী দেবী (৬০ বছর) ও আলমানি দেবী নামে তিন মহিলাকে ডাইনি অপবাদে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়। জানা যাচ্ছে, নিহতদের একজনের স্বামী ও ছেলেও ঘটনার সাথে জড়িত আছে।
আরও পড়ুন : Viral video : আফ্রিকার ভাই-বোন, 'কালা চশমা' ও একটি ভাইরাল নাচ...
স্থানীয় পুলিসের কানে খবর পৌঁছাতেই তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু গ্রামে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই গ্রামবাসীরা তাঁদের কাজে বাধা দেন। তদন্তেও তাঁরা কোনও সাহায্য করেননি। জিজ্ঞাসাবাদ করেও পাওয়া যায়নি কোনও উত্তর। অবশেষে ঝাড়খণ্ডের সোনাহাতু থানার কাছে রানাডি গ্রামের একটি জঙ্গলে দুজন মহিলার মৃতদেহ পাওয়া যায়। কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আপাতত গ্রামবাসীদের উপরেও কড়া নজর রাখা হচ্ছে।