নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রায় তিন হাজার রকমের হাত পাখা নিয়ে ফেস্টিভ্যাল করেছিলেন তিনি। নয়াদিল্লিতে যতীন দাসের সেই পাখা ফেস্টিভ্যাল বেশ সাড়া ফেলেছিল। বাঁশ থেকে তৈরি হাতপাখার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন অনেকে। গুজরাট, ওড়িশা ও বাংলার আদিবাসী শিল্পীরা হাতপাখার পুরনো ইতিহাস তুলে ধরেছিলেন দর্শকদের সামনে। কীভাবে এই পাখা তৈরি হয়। কীভাবে বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন রকম পাখা ব্যবহার করা হয়। সবই তুলে ধরা হয়েছিল সেই ফেস্টিভ্যালে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  শ্রীনগরে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত এসওজি জওয়ান


পাখার সৌন্দর্য মুগ্ধতা ছড়িয়েছিল। সেই মুগ্ধতার সুভাস রয়েছে এখনও। আর তাই এবার স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনেও পাখার অস্তিত্ব থাকছে। লাল কেল্লায় আগত অতিথিদের হাতে এবার উপহার হিসাবে হাতপাখা তুলে দেওয়া হবে। কয়েক হাজার হাতপাখা থাকবে লালকেল্লায়। ১৫ আগস্ট সেই হাতপাখা লাল কেল্লায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় উপস্থিত মন্ত্রী ও কুটনীতিকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।


আরও পড়ুন-  প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে ‘চিপকো’ আন্দোলন শুরু করেছেন রাহুল, কটাক্ষ রাজনাথের


দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এবার স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনের দিন তাই আদিবাসী মন্ত্রকের কাছে এক হাজার হাতপাখা চেয়ে আবেদন করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। জানা গিয়েছে, প্রতিটা পাখার জন্য একজন আদিবাসী শিল্পী ১৫০ টাকা করে পাবেন। প্রতিটা পাখায় অতিথিদের জন্য বিশেষ মেসেজ লেখা থাকবে। আদিবাসীদের শিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে এমন প্রয়াস। শিল্পী যতীন দাসের পাখা ফেস্টিভ্যালের পর থেকেই দেশজুড়ে হাতপাখা নিয়ে একটা আলাদা উত্সাহ তৈরি হয়েছে। সারা দেশে ৯৭টি আউটলেট ও ই-পোর্টাল থেকে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ আদিবাসীদের তৈরি হাতপাখা অর্ডার করছেন। তবে দাসকড়ি হাত সমিতির কর্ণধার জয়া জেটলি বলছেন, ''গত বছরও আমরা লক্ষ্য করেছিলাম, ১৫ আগস্ট লাল কেল্লায় আসা দর্শকরা গরমে নাজেহাল হয়ে পড়েন। প্রবল গরমে অনেকে হাতের সামনে থাকা ম্যাগাজিন বা খবরের কাগজ দিয়ে হাওয়া করেন। এবার তাদের সেরকম কিছু করতে হবে না। তাদের হাতে এবার বাঁশের তৈরি হাত পাখা থাকবে। একদিকে কাজের কাজও হবে। আরেক পাশে আদিবীসীদের পুরনো সংস্কৃতির সঙ্গে তাদের পরিচয়ও হয়ে যাবে।''