Headmistress Refused to Hoist Tricolor: `স্যালুট করতে পারব না`, স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা তুলতে অস্বীকার প্রধান শিক্ষিকার
সূত্রের খবর এর আগেও জাতীয় পতাকা তুলতে বা স্যালুট করতে তিনি অস্বীকার করেছিলেন। এনিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরে। অভিযোগ, এর আগে স্বাধীনতা দিবসের দিন তিনি ছুটি নিয়ে স্কুলে আসেননি
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা তুলতে অস্বীকার করে বিতর্কে তামিলনাডুর সরকারি স্কুলের এক প্রধান শিক্ষিকা। শেষপর্যন্ত তেরঙ্গা উত্তোলন করেন স্কুলের সহ প্রধান শিক্ষক। এনিয়ে তুমুল হইচই রাজ্যের ধর্মাপুরী জেলায়। এ বছরই অবসর নিচ্ছেন তামিলসেলভি নামের ওই শিক্ষিকা। স্বাধীনতা দিবসে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছিল স্কুল। কিন্তু সেই সব আয়োজন তিনি ভেস্তে দেন। কেন এমন সিদ্ধান্ত? সংবাদমাধ্যমের খবর, প্রধান শিক্ষিকা জানিয়ে দেন তিনি একজন খ্রিষ্টান। জাতীয় পতাকাকে স্যালুট করতে তিনি পারবেন না। তাই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন না। তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী ঈশ্বর ছাড়া আর কাউকে স্যালুট করা যায় না। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
আরও পড়ুন-'আমি বাড়িতে অন্তত একশোবার ফুটবলটাকে নাচাই', ইস্টবেঙ্গল মাঠে মমতা-বাণী
সূত্রের খবর এর আগেও জাতীয় পতাকা তুলতে বা স্যালুট করতে তিনি অস্বীকার করেছিলেন। এনিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরে। অভিযোগ, এর আগে স্বাধীনতা দিবসের দিন তিনি ছুটি নিয়ে স্কুলে আসেননি।
এনিয়ে একটি ভিডিয়ো বিবৃতি দিয়ে গোটা ঘটনার সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তামিলসেলভি। সেখানে তিনি বলেছেন, তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাস একমাত্র ঈশ্বরের সামনেই মাথা নত করার অনুমতি দেয়। এর অর্থ এই নয় যে তিনি জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করেন।
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান ও প্রধান শিক্ষিকার সংবর্ধনা উপল্ক্ষ্যে স্কুলে উপস্থিতি ছিলেন ৩০০ পড়ুয়া ও গ্রামের কমপক্ষে ৫০০ মানুষ। অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষিকাকে পতাকা উত্তোলন করতে বললে তা করতে তিনি অস্বীকার করেন। শেষপর্যন্ত গ্রামবাসীদের অনুরোধে জাতীয় পতাকা তোলেন স্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষক।