আম তুমি কার? ৩৫ বছরের লড়াই এখনও টাটকা ভারত-পাকিস্তানের
সীমান্ত চুক্তি থেকে কাশ্মীর, সিয়াচেন থেকে পরমাণু অস্ত্র সম্ভার-বহু ক্ষেত্রেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রয়েছে মতোবিরোধ। সীমান্ত নিয়ে লড়াইও বাধে দফায় দফায়। এই দু`দেশের মধ্যে আরও একটি কারণ নিয়ে যে বিবাদ রয়েছে তা কিন্তু অনেকেই জানেন না। আর সেই বিবাদটা নিছকই একদিন বা দু`দিনের নয়, দীর্ঘ ৩১ বছরের। অত্যন্ত তুচ্ছ এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক থেকে কূটনৈতিক স্তর পর্যন্ত একটি ঠান্ডা লড়াই রয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে।
ওয়েব ডেস্ক : সীমান্ত চুক্তি থেকে কাশ্মীর, সিয়াচেন থেকে পরমাণু অস্ত্র সম্ভার-বহু ক্ষেত্রেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রয়েছে মতোবিরোধ। সীমান্ত নিয়ে লড়াইও বাধে দফায় দফায়। এই দু'দেশের মধ্যে আরও একটি কারণ নিয়ে যে বিবাদ রয়েছে তা কিন্তু অনেকেই জানেন না। আর সেই বিবাদটা নিছকই একদিন বা দু'দিনের নয়, দীর্ঘ ৩১ বছরের। অত্যন্ত তুচ্ছ এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক থেকে কূটনৈতিক স্তর পর্যন্ত একটি ঠান্ডা লড়াই রয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে।
ঘটনায় জানা যায়, ১৯৮১ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়াউল হক ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে ও রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীব রেড্ডিকে এক ঝুড়ি আম পাঠান। সঙ্গে ছিল একটি ম্যাসেজ। সেই আম নাকি তাঁদের দেশের সেরা আম। আম খেয়েও আপ্লুত হয়ে পড়েন ইন্দিরা ও নীলম সঞ্জীব রেড্ডি। 'রাতাউল' নামে সেই আমের প্রশংসা করে জিয়াকে একটি খোলা চিঠিও পাঠান ইন্দিরা গান্ধী। তাতে সার্টিফিকেট দিয়ে বলেন, ''ওই আম শুধু পাকিস্তানেই ফলবে।''
ব্যাস সেখানেই ঘটে যায় বিপদ। খবর চাউর হতেই উত্তরপ্রদেশের রাতাউল জেলার আমচাষীরা ছুটে আসেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। বলেন, এই আম কোনওভাবেই পাকিস্তানের হতে পারে না। কারণ, যে মানুষটি সেই আমের চাষ করেন পাকিস্তানে তিনি নাকি এই রাতাউল জেলারই বাসিন্দা ছিলেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে জানান ওই ব্যক্তি ভারত-পাকিস্তান ভাগ হওয়ার সময় রাতাউল এলাকা থেকে কয়েকটি আমের চারা নিয়ে যান সেখানে। আর তারপর থেকেই পাকিস্তানে আমের উত্পাদন শুরু।
বিশ্ব আম উত্সবে যখনই এই দুই দেশ মুখোমুখি হয়, তখনই তাদের মধ্যে রাতাউল আম নিয়ে শুরু হয় ঠান্ডা লড়াই।