নিজস্ব প্রতিবেদন- আগুনের মতো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে নোভেল করোনাভাইরাস। সংক্রমণ রোখার তাগিদে দেশে আগামী ৩ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লাগাতার লকডাউনের পথে হাঁটলেও চরম আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি সূত্র। মে মাসের শুরুতেই সারা দেশে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ মাত্রা ছাড়াবে। আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বেশি হবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মে মাসের পরে ধীরে ধীরে কমবে সংক্রমণের ভয়াবহতা। পরিসংখ্যান বলছে, যে দেশগুলোই করোনা মোকাবিলায় প্রথম থেকেই সম্পূর্ণ লকডাউনের রাস্তায় হেঁটেছে তারাই ভাল ফল পেয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জনতা কার্ফুর পর থেকে সারা ভারতে ২৫ মার্চ থেকে ঘোষিত হয় লকডাউন। যার জেরে বেহাল অবস্থা ভারতের অর্থনীতির। মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশের ছোট থেকে বড় শিল্প। তবু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, লকডাউনের জেরেই সংক্রমণের দ্রুত গতিতে রাশ টানা সম্ভব হয়েছে। যেসব রাজ্য আগেভাগে লকডাউনের পথে হেঁটেছিল সুফল পেয়েছে তারা। সিকিম, রাজস্থান, পঞ্জাব এবং বিহার এই রাজ্যগুলি প্রথম থেকে লকডাউনের পথে হেঁটে ছিল। তাই দেখা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশ, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের তুলনায় ওই রাজ্যগুলোয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এক প্রবীণ সরকারি আধিকারিক বলেছেন, "পরের এক সপ্তাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধিকে থামাতে আরও বেশি করে করোনা পরীক্ষা করার দিকে জোর দিচ্ছে। তীব্র শ্বাসকষ্ট বা করোনা সংক্রান্ত অন্য কোনও লক্ষণ দেখলেই এখন আর দেরি না করে তাঁদের সবারই পরীক্ষা করা হচ্ছে", এমনটাই বলেছেন ওই সরকারি আধিকারিক। 


আরও পড়ুন— লকডাউনে বেহাল দেশের অর্থনীতি, ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজতে মোদীর সঙ্গে বৈঠক নির্মলার


করোনা আক্রান্ত হয়ে ভারতে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৪৩৭ জন, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের, এমনই পরিসংখ্যান মিলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে। প্রসঙ্গত দেশে এখনও মোট করোনা আক্রান্ত ১১ হাজার ২০১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে প্রায় ১,০০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।