নিজস্ব প্রতিবেদন- ফেব্রুয়ারি অথবা মার্চে ভারতে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। এর আগে এমনটাই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্ধন। তবে তিনি এটাও জানিয়েছিলেন, প্রথমদিকে স্বাস্থ্য কর্মী ও দেশের বয়স্ক নাগরিকদের মধ্যে টীকাকরণ হবে। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের ভ্যাকসিন পেতে জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, হয়তো জানুয়ারি থেকেই দেশে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়ে যাবে। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ড. হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, এখন সারা দেশে মাত্র তিন লাখ অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে। এক মাস আগে যা ছিল ১০ লাখের বেশি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, সারা দেশে এক কোটির বেশি করোনা সংক্রমিত মানুষ ছিলেন। তবে এখন ৯৫ লাখেরও বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ভারতে এখন রিকভারি রেট সব দেশের থেকে বেশি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, করোনা পরিস্থিতির সব থেকে কঠিন সময় ভারত পেরিয়ে এসেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রী এদিন বলেছেন, ''আমরা খারাপ সময় পেরিয়ে এসেছি ঠিকই। তবে এখন ঢিলেমি দেওয়া যাবে না। একইরকমভাবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। তবেই এই মহামারীর প্রকোপ থেকে পুরোপুরি নিষ্কৃতি পাব আমরা।''


আরও পড়ুন-  লালুর কিডনির ৭৫ শতাংশই অকেজো! চিকিত্সককে চাপ দিতেই বেরিয়ে এল আসল তথ্য


এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরো বলেন, গত চার মাস ধরে টীকাকরণের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পনা করছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্য, জেলা ও ব্লক স্তরে টীকাকরণের জন্য রুট ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়েই গোটা দেশে টীকাকরণ চলবে। তার জন্য ২৬০টি জেলায় কুড়ি হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের ৩০ কোটি মানুষকে কোভিড নাইনটিন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী। পুলিস, সেনা, সাফাই ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সবার আগে টীকাকরণ হবে। এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেছেন, ''কেউ টীকা নিতে রাজি না হলে তাকে জোর করা হবে না। তবে আমরা দেশের প্রতিটি মানুষকে টীকা দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছি।''