নিজস্ব প্রতিনিধি: সমস্যা গোটা দেশেরই। কয়লার ঘাটতিতে ভুগছে দেশের অধিকাংশ বিদ্যুত্ কেন্দ্র। ফলে উত্সবের আগে ধাক্কা খেতে পারে বিদ্যুত্ উত্পাদন। একথা স্বীকার করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুত্ মন্ত্রী। শুধু তাই নয় অনেক বড় আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন্দ্রীয় বিদ্যুত্ মন্ত্রী  আর কে সিং জানিয়েছেন, আর মাত্র ৪ দিনের কয়লা মজুত রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লেগে যেতে পারে ৫-৬ মাস। উত্সবের দিনগুলোতে বিদ্যুত্ সরবারহে ঘাটতি থাকবে। 


আরও পড়ুন-Durga Puja: পুজোর একগুচ্ছ গাইডলাইন; মণ্ডপে কড়াকড়ি; কার্নিভালে নিষেধাজ্ঞা


সমস্যাটা ঠিক কোথায়


কেন্দ্র সরকার সূত্রে খবর, উত্তোলিত কয়লার ৭০ শতাংশ খরচ হয় বিদ্যুত্ উত্পাদনে। কিন্তু তা বিদ্যুত্ কেন্দ্রের জন্য ব্যবহৃত কয়লার মধ্যে ঘাটতি ৭৬ শতাংশ। এমনকি তাপ বিদ্যুত্ কেন্দ্রের জন্য দৈনিক ঘাটতি ৭০ হাজার টন কয়লা। সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে দেশজুড়ে কয়লার ঘাটতি ৮.২ মিলিয়ন টন। 


কেন এমন সমস্যা


কয়লা মন্ত্রক সূত্রে খবর, বৃষ্টি ও ধসের জন্য দেশের পূর্ব প্রান্তের কয়লা খনিগুলি থেকে কয়লা উত্তোলনে ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাতেই এই বিপত্তি। আবহাওয়ার উন্নতি হলে অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।


কেন্দ্রের একটি পরিসংখ্যান বলেছে, বর্তমানে কয়লার চাহিদা ডোমেস্টিক ও কমার্শিয়াল মিলিয়ে ১৭ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, কয়লার উত্তোলন বা সরবারহ তার পরিমাণ ১৩ শতাংশ কমে গিয়েছে। দুয়ে মিলিয়ে বিদ্যুত্ সঙ্কটের একটা আবহ তৈরি হয়েছে দেশজুড়েই। এই মুহূর্তে ১৩২টি বিদ্যুত্ কেন্দ্র মাত্র ৪-৫ দিনের কয়লা মজুত রয়েছে। ফলে এখনই কয়লার সরবারহ শুরু না হলে সঙ্কট আসন্ন।


আরও পড়ুন-Durga Puja: পুজো কমিটির জন্য বরাদ্দ ২০০ কোটি, বন্টনে বাদ রাজনৈতিক নেতারা  


বুধবার মহালয়া। তার আগেই এমন খবরে কতটা প্রস্তুত রাজ্য?কীভাবে এতবড় সঙ্কটের মোকাবিলা করা যাবে তা নিয়ে রাজ্য সরকারের তরপে সুনির্দিষ্ট ভাবে কিছু বলা হয়নি। তবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার প্রস্তুত। এমনটাই সূত্রের খবর। পুজোয় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। পাশাপাশি কলকারখানা, অফিস আদালত বন্ধ থাকার কারণে ঘাটতি ততটা বোঝা যায় না। কিন্তু এক্ষেত্রে বিদ্যুত্ উত্পাদন যদি ব্যাহত হয় তাহলে কী হবে। এনিয়ে বিদ্যুত্ দফতরের তরফে কিছু বলা হয়নি।


এনিয়ে ইন্ডিয়া পাওয়ার-এর কর্তা সোমেশ দাসগুপ্ত বলেন, গত ৬-৭ মাস ধরে কয়লা আমদানির উপরে চাপ এসেছে। দাম বেড়েছে ওই কয়লার। পাশাপাশি শীতের মুখে চিন তার ডোমেস্টিক কয়লার উত্পাদন বন্ধ করে দিয়েছে।  ফলে অধিকাংশ কয়লা আমদানিকারক কোম্পানি আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। এই ঘাটতি মেটানোর জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রক। আশাকরি একটা সমাধান সূত্রে বের হবে। এই সঙ্কট বৃষ্টিতে কয়লা উত্তোলনে বাধার কারণে হয়নি। কয়লা আমদানি কম হওয়া এর পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)