নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতে ক্রমশ প্রখর হচ্ছে করোনার করাল থাবা। দেশব্যাপী মৃত্যুমিছিল শুরু করে দিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত এ দেশে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৫,১৯৪ ছাড়িয়েছে। সারা দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪৯ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় এই মারণ ভাইরাসের দরুন মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এখনও পর্যন্ত একদিনে সর্বাধিক সংখ্যক মৃত্যু হয়েছে এই গত ২৪ ঘন্টায়। তাই আতঙ্কে দিন কাটছে ১৩০ কোটি ভারতীয়। অদৃশ্য শত্রুর দরুন মৃত্যুভয় তাড়া করে বেড়াচ্ছে সকলকে। করোনা মোকাবিলায় ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লকডাউনের দরুন সংক্রমণের গতি হ্রাস পেলেও দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হারও। নমোর ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৪ এপ্রিল দেশের লকডাউন শেষ হওয়ার কথা।


আরও পড়ুন- কোয়ারেন্টাইনে না থাকলে একজন করোনা রোগী সংক্রমণ ছড়াতে পারেন ৪০৬ জনের শরীরে


তবে সংক্রমণের দ্রুততা বিবেচনা করে  লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন একাধিক রাজ্যের মন্ত্রী। ইতিমধ্যেই যোগী-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ১৪ এপ্রিলের পরেও  লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। রাজ্যগুলির দেওয়া প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখবে বলেছে কেন্দ্র। গত ২৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন। ১৪ এপ্রিল যার অন্তিম দিন। কিন্তু লকডাউনের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা এখনও অব্যাহত। মেলেনি কোনও সঠিক তথ্য। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরও সোমবার বলেন, "সঠিক সময়ে জাতীয় স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"


তেলেঙ্গানা রাজ্যটি প্রথম  লকডাউন সম্প্রসারণের পরামর্শ দিয়েছিল। তাদের দাবী বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ নামে একটি সংস্থা সমীক্ষা করে তাদের জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১ জুনের মধ্যেই সবথেকে বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত লকডাউন সম্প্রসারণ করা উচিত। তবে শুধু তেলেঙ্গানাই নয়, অসম ও ছত্তিশগঢ়ও জানিয়েছে  তারা করোনা মোকাবিলার  জন্য রাজ্যের সীমান্ত অঞ্চল দীর্ঘদিনের জন্য বন্ধ করে রাখতে চায়। আর যদি সীমানা খোলাও থাকে তবে সেখান দিয়ে কেবলমাত্র সীমাবদ্ধ প্রবেশের অনুমতি দিতে চায় ওই রাজ্য দুটি।