নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথম মোদী সরকারের জমানাতেই উঠেছিল অসহিষ্ণুতার অভিযোগ। দ্বিতীয় পর্বে  কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, নাগরিকপঞ্জির মতো বিতর্কিত বিষয় নিয়ে উত্তপ্ত গোটা দেশ। এমন একটা সময়ে মোদী সরকারের অস্বস্তি বাড়াল বিশ্ব গণতন্ত্র সূচক।  Economist Intelligence Unit-এর সমীক্ষায় বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে ১০ ধাপ নিচে নামল ভারত। তার মূল কারণ, দেশে খর্ব হয়েছে নাগরিক স্বাধীনতার অধিকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দ্য ইকনমিস্ট গ্রুপের গবেষণা ও বিশ্লেষণ বিভাগ ইকনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট তৈরি করেছে বিশ্ব গণতন্ত্র সূচক। ওই সূচকে ১০ ধাপ নেমে ৫১ নম্বরে স্থান হয়েছে ভারতের। রিপোর্টে মাপকাঠি, দেশের বহুত্ববাদ, সরকারের কাজকর্ম, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নাগরিক অধিকার। ২০০৬ সালে প্রথম রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল তারা। ২০১৭ সালে ভারতের স্কোর ছিল ১০-এ ৭.২৩। তার আগের বছর ১০-এ ৭.৮১। এবার সেটাই কমে হয়েছে ১০-এ ৬.৯। বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে গড় ১০-এ ৫.৪৪। এতে বোঝা যাচ্ছে, বিশ্বের বৃহত্ অংশের মানুষ এখনও স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার আওতায়। 


দ্য ইকনমিস্টের রিপোর্টের মতে,''গণতন্ত্র সূচকে ভারতের পিছলে পড়ার প্রধান কারণ সে দেশে নাগরিক স্বাধীনতা খর্ব হয়েছে। ডিসেম্বরে ভারতীয় সংসদে পাস হয়েছে বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। তার জেরে ২০২০ সালের সূচকেও নিম্নগামী হবে ভারত।'' ইকনমিস্টের রিপোর্টের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, জম্মু-কাশ্মীর। ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর থেকে ওই রাজ্যে প্রধান বিরোধীরা, এমনকি তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ৫ মাস ধরে গৃহবন্দি রয়েছেন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ১০০ দিন ধরে বন্ধ থাকা ইন্টারনেট পরিষেবা। মোতায়েন রয়েছে বিশাল সেনাবাহিনী। 


গণতন্ত্র সূচকে শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। তারপরেই আইসল্যান্ড। সুইডেন ও নিউজিল্যান্ড রয়েছে তৃতীয়-চতুর্থ স্থানে। পাঁচে ফিনল্যান্ড। একেবারে শেষে ১৬৭ নম্বরে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। বাংলাদেশ রয়েছে ৮০ তম স্থানে। ১০৮ নম্বরে পাকিস্তান।             


আরও পড়ুন- সার্ভার রুমে ভাঙচুরই হয়নি, JNU কাণ্ডে তথ্যের অধিকার আইনে চাঞ্চল্যকর তথ্য, মুখে কুলুপ উপাচার্য