নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রায় তলানিতে ঠেকেছে দেশে জিডিপি বৃদ্ধির হার। বর্তমানে তা ৪.৫ শতাংশ। বিরোধীদের মতে ওই পরিসংখ্যান ঠিক নয়, জিডিপি আসলে ঠেকেছে ২.৫ শতাংশ। ফলে নতুন বছরে মোদী সরকারের প্রধান লক্ষই হবে জিডিপিকে টেনে তোলা। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ স্টিভ হ্যাঙ্ক বলছেন অন্য কথা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাঙ্কের মতে, জিডিপি ৪.৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নিয়ে যেতে ২০২০ সালে হিমশিম খাবে মোদী সরকার। কারণ বিনিয়োগের অভাব।


আরও পড়ুন-রাজনীতি থেকে দূরে থাকা উচিত সেনার, বললেন সিডিএস বিপিন রাওয়াত


উল্লেখ্য, নাগরিকপঞ্জী, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভে নাজেহাল কেন্দ্র।  এর কোনও সমাধান এখনও বের করতে পারেনি মোদী সরকার। তার ওপরে টানা কয়েক মাস ধরেই চলছে মন্দা। ২০১৯-২০ ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৫ শতাংশে। বিনিয়োগ আসছে না।  গ্রামীণ এলাকায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতা তলানিতে ঠেকেছে। বেকারত্বের হার গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।


এরকম এক অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন সরকার ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে শুধুমাত্র পরিবাঠামো উন্নয়ন খাতে। গত ২০ ডিসেম্বর অ্যাসোচেমের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সামলোচকরা অনেক কথাই বলছে।  তাদের পাল্টা বলতে চাই না। শুধু এটুকু বলতে চাই ভারত শীঘ্রই এই মন্দা কটিয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে।


এই দশা থেকে মুক্তির উপায় কী? দুনিয়ায় অন্যতম দ্রুত অর্থনীতির দেশের এই অবস্থা কেন? হাঙ্কের মতে কোনও দৃড় আর্থিক পদক্ষেপ নেওয়ার কোনও চেষ্টা নেই মোদী সরকারের। তার পরিবর্তে দুটি জিনিস নিয়ে মেতে রয়েছে সরকার। এই দুটি জিনিস হল জাতপাত ও ধর্ম। দুটোই খুবই সংবেদনশীল।



আরও পড়ুন-দলের জন্মদিনে টুইট বার্তা, দিনটিকে নাগরিক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত মমতার


মার্কিন অর্থনীতিবিদের মতে, অনেকেই এখন বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন দুনিয়ার বৃহত্তম গণতন্ত্র থেকে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় পুলিসরাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে ভারত।