নিজস্ব প্রতিবেদন : মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ ঘোষণার পথে ফের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চিন। ২০১৬-র মার্চ মাসে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ ও তার প্রধান মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দাবি জানায় ভারত। আমেরিকা, ফ্রান্স ও ব্রিটেন সহ একাধিক দেশ ভারতের সেই দাবিতে সম্মতি জানালেও বার বার চিন ভারতের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। বৃহস্পতিবার ফের একবার ভারতের এই দাবির বিরোধিতা করে মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া চতুর্থবারের জন্য আটকে দেয় চিন। চিনের এহেন পদক্ষেপকে কড়া ভাষায় বিঁধল ভারত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারতের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ করার পথে বাধা দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে চিন। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণকেও উপেক্ষা করছে বেজিং। ভারতের তরফে আরও বলা হয়েছে, চিন একইসঙ্গে দু-নৌকায় পা দিয়ে চলছে। একদিকে মুখে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের কথা বলছে, অন্যদিকে 'বন্ধুরাষ্ট্র' পাকিস্তানের মন রাখতে মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ ঘোষণার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। চিনের এই দ্বিচারিতা ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি করবে বলেই মত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।


যদিও ভারতের হুঁশিয়ারিকে আমল দিতে নারাজ চিন। বেজিং-এর তরফে জানানো হয়েছে, তারা ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের 'ধারাবাহিক উন্নতির' পক্ষে। চিনের সহকারী বিদেশমন্ত্রী চেন জিয়াওডং বলেন, ভারত চিনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক চিনা বিদেশনীতির মূল লক্ষ্য। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ধারাবাহিক উন্নতির লক্ষ্যে সেই বিদেশনীতি মেনেই চলা হবে।


প্রসঙ্গত, ডিসেম্বর বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে আসছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং আই। ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রী ছাড়াও সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রুশ বিদেশমন্ত্রী। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিসাধনের রূপরেখা তৈরি করতেই এই বৈঠক বলে সূত্রের খবর। কিন্তু ডোকালাম ও মাসুদ আজহার ইস্যুর পর দুদেশের সম্পর্কের বরফ গলবে কিনা, এখন সেটাই প্রশ্ন।


আরও পড়ুন, মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পথে ফের বাধা চিন