নিজস্ব প্রতিবেদন: আরব আমিরশাহির ত্রাণ সাহায্য নেবে না ভারত। এই খবর কেন্দ্র সূত্রে আগেই জানা গিয়েছে। এ বার তাতে ‘সিলমোহর’ বসালো থাইল্যান্ডের সরকারও। ভারতে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত চুটিনটর্ন স্যাম গংসাকদি টুইটে লেখেন, কেরল জন্য  কোনও বিদেশি সাহায্য নেবে না বলে জানায় ভারত। বন্যা দুর্গতদের জন্য আমাদের সহমর্মিতা রইল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- কেরলকে ৭০০ কোটি টাকার ত্রাণ দিল আরব আমিরশাহি


উল্লেখ্য, কেরলেকে ৭০০ কোটি টাকা সাহায্য দেওয়ার প্রস্তাব দেয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। কেরলের পাশে থাকার জন্য আরব আমিরশাহিকে টুইটে ধন্যবাদও জানান সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এনডিটিভি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, আরব আমিরশাহির সাহায্য বিষয়ে কোনও তথ্য কেন্দ্রের কাছে নেই বলে জানা যায়। এমনকি বিদেশমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, যদি এমন কোনও সাহায্যের প্রস্তাব এসে থাকলেও তা গ্রহণ করবে না কেন্দ্র। বিপর্যয় মোকাবিলায় বিগত উদাহরণ টেনে নিয়ে এসে ওই আধিকারিকের বক্তব্য, এর আগে এমন পরিস্থিতি বিদেশের সাহায্য নেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, সুনামি এবং উত্তরাখণ্ডের বন্যার মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কোনও বিদেশি সাহায্য গ্রহণ করেনি তত্কালীন মনমোহন সরকার। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং জানিয়েছিলেন, “এই বিপর্যয় মোকাবিলা করার ক্ষমতা ভারতের আছে। প্রয়োজন হলে সাহায্য চাইবে ভারত।”  পরবর্তীকালে অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে বিদেশি সাহায্য নিতে হয়নি ভারতকে।


আরও পড়ুন- আরব আমিরশাহির সাহায্য নেবে না কেন্দ্র, যুক্তি কী?


কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন কেরলের অর্থমন্ত্রী থমাস আইজ্যাক। তিনি বলেন, “আমরা কেন্দ্রের কাছে ২০ হাজার কোটি টাকার সাহায্য চেয়েছি। ওরা মাত্র ৬০০ কোটি টাকা দিয়েছে। কিন্তু এই বিপুল টাকা কে দেবে? কোনও সরকার বা ব্যক্তিগত ভাবে সাহায্য করলে কেন কেন্দ্র নিতে চাইছে না, তা বুঝতে পারছি না।” প্রসঙ্গত,  প্রায় ২০ লক্ষ ভারতীয় বসবাস করেন আরব আমিরশাহিতে। যা তাদের মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ। এছাড়া সেখানে কেরলের অধিবাসীরাই সংখ্যায় বেশি। আরব আমিরশাহির ভাইস প্রেসিডেন্ট টুইটে জানান, “কেরলের মানুষ আমাদের সঙ্গে বরাবর পাশে থেকেছেন। উন্নয়নের ভাগীদার হয়েছেন।”