নিজস্ব প্রতিবেদন : সীমান্তে যতই উত্তেজনা বাড়ুক, এতদিন দু-দেশের কোনওপক্ষ-ই একে অপরকে উদ্দেশ করে গোলাগুলি ছোঁড়েনি। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে দশকব্যাপী সেই নিয়মের এবার বদল ঘটাল ভারতীয় সেনা। লাদাখ সংঘর্ষের পরই লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (LAC)-এ  'অস্বাভাবিক' পরিস্থিতিতে গোলাবর্ষণ ও গুলি ছোঁড়ার জন্য বাহিনীর তরফে জওয়ানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সর্বদল বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, "পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ভারতীয় সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এরপরই ভারতীয় সেনার তরফে LAC-তে অস্ত্র আইনে বদল তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ ও ২০০৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী, এতদিন LAC-র দুদিকে ২ কিলোমিটারের মধ্যে গোলাবর্ষণ বা গুলি ছোঁড়েনি কোনও পক্ষ। কিন্তু পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনের আগ্রাসনের চেষ্টা, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর পরই এবার কঠোর মনোভাব নিচ্ছে ভারত। সেদিনের সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হওয়ার পাশাপাশি কমপক্ষে ৭৬ জন জওয়ান জখম হন। লোহার রডে পেরেক, কাঁটা লাগানো এক অদ্ভুত অস্ত্র নিয়ে সেদিন ভারতীয় জওয়ানদের উপর চড়াও হয়েছিল চিনা বাহিনী। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। সূত্রে খবর, ৪৫ জন চিনা সেনাও সংঘর্ষে নিহত হয়েছে।


লাদাখ সংঘর্ষের পরই ভারত-চিন দু'দেশের সম্পর্ক কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে। দেশজুড়ে চিনা সামগ্রী বয়কটের ডাক উঠেছে। চিনের সঙ্গে সমস্তরকম অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে সরব হয়েছে দেশবাসী। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে উত্তেজনা 'অস্বাভাবিক' রকমভাবে বৃদ্ধি পেলে জওয়ানদের প্রয়োজনে গোলাবর্ষণ ও গুলি ছুঁড়তে অনুমতি দেওয়া হল। প্রসঙ্গত, ভারতীয় জওয়ানদের মনোবল যাতে কোনওভাবেই চিড় না খায়, সেটাই এখন বাহিনী প্রধান লক্ষ্য।


তবে ভারতীয় সেনার এই সিদ্ধান্তে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চিনা সংবাদমাধ্যম। চিনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের এডিটর-ইন-চিফ হু শিনজিং টুইট করে বলেন, "যদি এটা সত্যি হয়, তাহলে তা গুরুতরভবে চুক্তি লঙ্ঘন। ভারতকে এর জন্য কড়া মূল্য চোকাতে হবে।"


আরও পড়ুন, লাদাখ সংঘর্ষ: 'নিজেকে ঢাকতে মিথ্যে বলছেন প্রধানমন্ত্রী', তোপ পূর্বসূরীর