নিজস্ব প্রতিবেদন: হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে নয়া নির্দেশিকা জারি করল ভারতীয় সেনা। গত মাসে, সেনার গোপন বৈঠকের অপারেশনাল ম্যাপ ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, এক ব্রিগেডিয়ার ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকাকালীন অপারেশনাল ম্যাপের ছবি তোলেন এবং প্রিন্সিপল স্টাফ অফিসারকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেন। প্রিন্সিপল স্টাফ অফিসার আরও এক কর্তাকে সেই ছবি প্রেরণ করেন। পরবর্তীকালে সেটি ফাঁস হয়ে যায় আমজনতার কাছে। এই ঘটনা প্রায়শই ঘটছে বলে সেনা সূত্রে জানা গেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


সেনার নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মেসেঞ্জার, চ্যাট বা ইমেল পরিষেবায় বড় গ্রুপে থাকা যাবে না। ঘনিষ্ঠদের নিয়ে গ্রুপ তৈরি করতে হবে, যেখানে অপরিচিত ব্যক্তি সদস্য হতে পারবেন না। এক সেনা আধিকারিকের কথায়, সোশ্যাল মাধ্যম ব্যবহারে পরিস্কার বার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে, প্রযুক্তিগতভাবে আপডেটে থাকা এবং সোশ্যাল মাধ্যমে নতুনত্ব নিয়ম সম্পর্কে অবগত থাকাও জরুরী। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়েই এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন- কাশ্মীর ইস্যুতে আমেরিকার মধ্যস্থতা চাননি মোদী, ট্রাম্পের দাবি খারিজ করল দিল্লি


সেনা আধিকারিক জানাচ্ছেন, যথেচ্ছ স্মার্টফোন ব্যবহার এবং হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ আদানপ্রদান বন্ধ করতে হবে। অফিসিয়াল তথ্য আদানপ্রদান ক্ষেত্রে ফাঁস হলে তথ্য চুরি হিসাবে গণ্য করা হবে। কারণ, আধিকারিকরা মনে করছেন, হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য এনক্রিপ্টেড হলেও স্মার্টফোন ডিভাইস হ্যাক করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে মোবাইলে তথ্য থাকা সুরক্ষিত নয় বলে দাবি তাঁদের।