INS Vikrant: শিবাজীর রাজমুদ্রা পতাকায়, বিক্রান্তে `গোলামির` শেষ দেখছেন মোদী
২৬২ মিটার দীর্ঘ এবং ৬২ মিটার চওড়া বিক্রান্ত ভারতে নির্মিত বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ। এতে মিগ-২৯ কে ফাইটার জেট এবং হেলিকপ্টার সহ ৩০টি বিমান থাকতে পারে। যুদ্ধজাহাজে প্রায় হাজার ১৫০০ জন ক্রু থাকতে পারে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে নৌ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হল প্রথম দেশীয় বিমানবাহী রণতরী ‘আইএনএস বিক্রান্ত’। প্রধানমন্ত্রী মোদী এই বিমানবাহী রণতরীর শুভসূচনা করেন। এই এটি ভারতের ইতিহাসে নির্মিত সবচেয়ে বড় যুদ্ধ জাহাজ। পাশাপাশি উত্তোলিত হয় নৌবাহিনীর নতুন পতাকা। ৪৫ হাজার টন ওজনের এই যুদ্ধজাহাজ বিক্রান্তের নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। ২৬২ মিটার দীর্ঘ এবং ৬২ মিটার চওড়া বিক্রান্ত ভারতে নির্মিত বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ। এতে মিগ-২৯ কে ফাইটার জেট এবং হেলিকপ্টার সহ ৩০টি বিমান থাকতে পারে। যুদ্ধজাহাজে প্রায় হাজার ১৫০০ জন ক্রু থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, ভারতের হাতে আগেও এই নামে একটি রণতরী ছিল। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সে সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ‘আইএনএস বিক্রান্ত’। নব্বইয়ের দশকের শেষ পর্বে বিক্রান্ত অবসর নেয়। ভেঙে ফেলা হয় জাহাজটি। তারই স্মৃতিতে একই নামে দেশে তৈরি করা হল এই যুদ্ধজাহাজ। নৌসেনা সূত্রে খবর, বিক্রান্ত রণতরীতে রাখা যাবে ৩০টি যুদ্ধবিমান। থাকছে আর্লি ওয়ার্নিং হেলিকপ্টার। মূলত মিগ ২৯ যুদ্ধবিমানকেই ব্যবহার করা হবে এই রণতরীতে।
"ঔপনিবেশিক অতীত" দূর করার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনীর নতুন পতাকা থেকে সেন্ট জর্জ ক্রস সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পরিবর্তে, এটি এখন উপরের ক্যান্টনে (পতাকার উপরের বাম কোণে) তেরঙা সহ জাতীয় প্রতীক বৈশিষ্ট্যযুক্ত। জাতীয় প্রতীকটি একটি অষ্টভুজাকার ঢাল দ্বারা আবৃত এবং একটি নোঙ্গরের উপরে বসে। এর নীচে রয়েছে নৌবাহিনীর মূলমন্ত্র ‘স্যাম নো বরুণ’। জাতীয় প্রতীকের চারপাশের সোনালী সীমানা ভারতীয় সম্রাট ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের সীলমোহর থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করে এবং অটলতার চিত্রিত করে। জাতীয় প্রতীকের অষ্টভুজাকার আকৃতিটি আটটি দিক নির্দেশ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা ভারতীয় নৌবাহিনীর বহু-দিকীয় নাগালের এবং বহুমাত্রিক কর্মক্ষমতার প্রতীক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আজ ভারত তার বুক থেকে দাসত্বের চিহ্ন, দাসত্বের বোঝা সরে গেল। আজ থেকে নতুন পতাকা পেল ভারতীয় নৌসেনা। এখন পর্যন্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর পতাকায় দাসত্বের পরিচয় রয়ে গিয়েছিল। তবে আজ থেকে ছত্রপতি শিবাজীর অনুপ্রেরণায় সমুদ্রে ও আকাশে উড়বে নৌবাহিনীর নতুন পতাকা।' তবে আশ্চর্যের বিষয় বিক্রান্তে আশ্রয় পাওয়া যুদ্ধবিমানগুলি রাশিয়ার তৈরি।
আরও পড়ুন, INS Vikrant: ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী বিক্রান্তকে নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেবেন মোদী