রেড কার্পেটের অভ্যর্থনায় ভোট দিলেন দেশের ‘প্রথম’ ভোটার
এই একটি দিনের জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকেন হিমালচল প্রদেশের কালপা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নেগি। এ নিয়ে ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের সাক্ষী রইলেন দেশের ‘প্রথম’ ভোটার
নিজস্ব প্রতিবেদন: শেষ দফায় ভোট দিলেন দেশের ‘প্রথম’ ভোটার শ্যাম সরণ নেগি। ১৯৫২ সালে যে বুথে প্রথম ভোট দিয়েছিলেন, আজ সেখানে গিয়েই ভোট প্রদান করেন। এরপর বুথ থেকে বেরিয়ে ১০২ বছরের ‘যুবক’ নেগির বার্তা, ভোট দিয়ে সত্ এবং সক্রিয় সাংসদ নির্বাচন করুন।
এই একটি দিনের জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকেন হিমালচল প্রদেশের কল্পা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নেগি। এ নিয়ে ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের সাক্ষী রইলেন দেশের ‘প্রথম’ ভোটার। ভাবছেন, তিনিই প্রথম ভোটার কেন? এ দেশে নেগির মতো ১০২ বছর বয়সী ভোটার কী আর নেই? অবশ্যই আছে। কিন্তু নেগির প্রথম ভোটার হওয়ার পিছনে একটা গল্প রয়েছে। নেগি বলেন, “দেশের প্রথম নির্বাচন হয় ১৯৫২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে হিমাচলের প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকার ভোট ৫ মাসে এগিয়ে আনা হয়। ১৯৫১ সালে অক্টোবরে শুরু হয় ভোট।” নেগির কথায়, “স্কুল শিক্ষক হওয়ায় সে সময় নির্বাচনের কাজ পড়েছিল। কিন্তু তার আগে সকাল ৭টার সময় কিনৌরের কল্পা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছে যাই। সেই বুথে প্রথম ভোটটি আমিই দিয়েছিলাম।” পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, সেই এলাকা এ দিন তিনিই প্রথম ভোট দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- ভোট দিয়ে বেরিয়েই চিত্র সাংবাদিককে বেধড়ক মার তেজপ্রতাপের দেহরক্ষীদের, দেখুন ভিডিয়ো
আজ নেগিকে রেড কার্পেটে অভ্যর্থনা জানানো হয় কল্পার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে। প্রাথমিক চিকিত্সারও ব্যবস্থা রাখা হয়। এই বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ১৮৯০ সালে। ১৯৫১ সালে এখানে প্রথম ভোট হওয়ায় প্রিসাইডিং অফিসার-সহ বুথ কর্মীরাও আপ্লুত। নেগি জানান, এ নিয়ে ১৬ টি লোকসভা, ১৩টি বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। কল্পা গ্রামের বাসিন্দারা চাইছেন, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেও এভাবেই ভোট প্রদান করবেন নেগি। তখন তাঁর বয়স হবে ১০৭ বছর।