রেল মন্ত্রকের বড় সিদ্ধান্ত, বাতিল হচ্ছে ৩১ বছরের বেশি পুরানো সব ডিজেল ইঞ্জিন
রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, এর ফলে কমবে দূষণের মাত্রা। তার সঙ্গে আধুনিক ও উন্নত হবে রেল পরিষেবা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বছরের পর বছর ছুটে চলেছে অগুনতি পুরানো রেল ইঞ্জিন। ইঞ্জিনগুলির ধীর গতির পাশাপাশি অতিরিক্ত জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচে জেরবার রেল। এবার সেই সমস্যার বোঝা ঘাড় থেকে নামাতে চলেছে রেল। ৩১ বছরের বেশি পুরানো ডিজেল ইঞ্জিনগুলির ব্যবহার বন্ধ করতে চলেছে রেল মন্ত্রক। তার বদলে ধোঁয়াহীন ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের ব্যবহার বৃদ্ধি করার উপর জোর দেওয়া হবে। সেই লক্ষ্যে পুরানো প্রযুক্তির ইঞ্জিন ব্যবহার বন্ধ করার কথা ঘোষণা করল রেল মন্ত্রক।
আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই রেল ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে চাইছে রেল মন্ত্রক। সেই লক্ষ্যে তৈরী করা হয়েছে নতুন ডিজাইনের ইলেকট্রিক ইঞ্জিন। কয়েকদিন আগেই চিত্তরঞ্জনে তৈরী হওয়া দেশের দ্রুততম ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন রেলমন্ত্রী পীযুষ গয়াল। প্রায় ১৮০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে সক্ষম সেই ট্রেন। উচ্চগতিসম্পন্ন ইলেকট্রিক ইঞ্জিন আরও বেশি সংখ্যায় ব্যবহার করতে চাইছে রেল। ২০২২ সালের পর্যন্ত ধাপে ধাপে রেলে ডিজেল ইঞ্জিনের ব্যবহার বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছে রেল মন্ত্রক। রেল ব্যবস্থার ১০০% বিদ্যুতায়নই রেলের লক্ষ্য।
রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, এর ফলে কমবে দূষণের মাত্রা। তার সঙ্গে আধুনিক ও উন্নত হবে রেল পরিষেবা। শুধু তাই নয়, সময়ের সঙ্গে রেলের ইঞ্জিনগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তোলা হবে বলেও জানায় রেল কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের দ্রুত ও নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিতেই এই সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন : জম্মুতে চালু হল ইন্টারনেট-মোবাইল ফোন, ২ সপ্তাহ পর উপত্যকায় একাংশে মিলছে টেলিফোনের সুবিধে
রেলের বৈদ্যুতায়নের প্রক্রিয়ার নাম মিশন ইলেকট্রিফিকেশন ২০২২। এই লক্ষ্যেরই প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে বন্ধ করে দেওয়া হল ৩১ বছরেরও বেশি পুরানো ডিজেল ইঞ্জিন। রেল সূত্রে খবর এই ধরনের ইঞ্জিনে অতিরিক্ত জ্বালানিও খরচ হয়। রক্ষণাবেক্ষণেও হচ্ছিল অপচয়। এতে আখেরে ক্ষতি হচ্ছিল রেলের। পুরানো ইঞ্জিন বাতিল করার পেছনে এটিও একটি বড় কারণ।