Notice to Lord Hanuman: বেআইনি ভাবে জমি অধিগ্রহণের `অভিযোগে` স্বয়ং বজরঙ্গবলীকে নোটিস পাঠাল রেল!
Notice to Lord Hanuman: বিশ্বভারতীর সঙ্গে জমি-বিবাদ চলছে অমর্ত্য সেনের। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে এ সংক্রান্ত নোটিসও দেওয়া হয়েছে। এদিকে ভারতীয় রেলের তরফে প্রায় একইরকম কাণ্ডে নোটিস `পাঠানো হল` ভগবান বঙ্গরঙ্গবলী শ্রীহনুমানজিকেও! না, কোনও হাস্যরসের কাহিনি নয়। এ ঘোর বাস্তব। এমনটাই ঘটেছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিশ্বভারতীর সঙ্গে জমি-বিবাদ চলছে অমর্ত্য সেনের। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে এ সংক্রান্ত নোটিসও দেওয়া হয়েছে। এদিকে ভারতীয় রেলের তরফে প্রায় একইরকম কাণ্ডে নোটিস 'পাঠানো হল' ভগবান বঙ্গরঙ্গবলী শ্রীহনুমানজিকেও! না, কোনও হাস্যরসের কাহিনি নয়। এ ঘোর বাস্তব। এমনটাই ঘটেছে। ভূমি 'এনক্রোচড' হয়েছে এবং সেটি হনুমানজির থেকে 'রিকভার্ড' করতে হবে, এই মর্মে বজরঙ্গবলীকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। নোটিসটি মন্দিরের দেওয়ালে সাঁটিয়ে দিয়ে যায় রেল দফতর। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলায়। যদিও পরে রেল তাদের ভুল বুঝতে পেরে ওই নোটিস 'উইথড্র' করে নেয়। ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখে এই নোটিস ইস্যু করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Pulwama Attack Anniversary: চার বছর আগের 'প্রেমদিবস' ছিল রক্তাক্ত, ৪০ জন শহিদ হয়েছিলেন এদিন...
ঘটনার সূত্রপাত একটি মন্দিরকে ঘিরে। রেলের জমিতেই হনুমানজির একটি মন্দির রয়েছে, যা সরিয়ে নিতে বলেছিল রেল। রেল তাদের নোটিসে জানিয়েছিল, তারা হনুমানজির থেকে জমি উদ্ধার করবে! শুধু উদ্ধার করাই নয়, ওই জমি উদ্ধার করতে গিয়ে মন্দিরের নির্মাণ ভাঙতে হবে এবং তা করতে গিয়ে রেলের কত খরচ হবে, তা-ও ওই নোটিসে জানিয়েছিল রেল।
আরও পড়ুন: IT Raid in BBC Office: BBC-র দিল্লি অফিসে আয়কর হানা, ফোন বন্ধ রাখার নির্দেশ কর্মীদের
সবই ঠিক আছে। কিন্তু সম্বোধনেই গোলামাল। যেটা রেল খেয়াল করেনি। কিন্তু নোটিসটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই এবং তা নিয়ে যথারীতি হাসি-মশকরা চলছে দেখে রেল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। তড়িঘড়ি তারা আগের নোটিসটি তুলে নিয়ে একটু নতুন নোটিস পাঠায়, যেখানে ওই মন্দিরটির সংশ্লিষ্ট পুরোহিতমশাইকে অ্যাড্রেস করে নোটিসটি তৈরি করে রেল দফতর।
ঝাঁসি রেলওয়ে ডিভিশনের পাবলিক রিলেশন অফিসার মনোজ মাথুর এ বিষয়ে বলেন, আগের নোটিসটি ভুল করে দেওয়া হয়েছিল। এখন ওই মন্দিরের পুরোহিতের নামে নতুন করে নোটিস তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। নোটিসটি আদতে ঝাঁসি রেলওয়ে ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়রদের বিভাগ থেকে পাঠানো হয়েছিল।